Rahul Gandhi News: প্রধানমন্ত্রী-মুখ্যমন্ত্রীদের অপসারণ বিল নিয়ে এবার সরব হলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। এই বিলের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার ফেলে দেওয়ার ছক কষা হচ্ছে। অভিযোগ তুলে সরব রাহুল। বিশদে জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…
গুরুতর অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশ বা অন্য কোনও তদন্তকারী সংস্থার হেফাজতে ৩০ দিনের বেশি থাকলেই হারাতে হবে পদ। প্রধানমন্ত্রী, সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় সরকার বা রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির মন্ত্রীদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে। বুধবার লোকসভায় এই মর্মে বিল পেশ করে কেন্দ্রীয় সরকার। এই বিলের বিরোধিতায় সরব কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী।
25
কী অভিযোগ রাহুল গান্ধীর?
কেন্দ্রের তরফে বুধবার এই বিল পেশ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তারপরই এই বিলের নিয়মের বিরোধিতা ফুঁসে ওঠেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সহ ইন্ডিয়া জোটের অন্যান্য নেতারা। রাহুলের দাবি- এই বিল আইনে পরিণত হলে তার মাধ্যমে গোটা দেশ ফের পিছিয়ে যাবে মধ্যযুগে। শুধু তাই নয়, বুধবার সরকারের এই বিলের বিরোধিতায় কালো রঙের টি-শার্ট পরে লোকসভায় বক্তব্য পেশ করেন কংগ্রেস সাংসদ তথা বিরোধী দলনেতা।
35
বিল বিরোধীতা বিরোধীদের
সূত্রের খবর, তবে শুধু রাহুল গান্ধী একা নয়। কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নয়া এই বিলের বিরোধীতা জানিয়েছে কংগ্রেস সহ অন্যান্য বিরোধী দলগুলি। বুধবারই এই বিষয়ে এক্স হ্যান্ডেলে একটি বার্তা পোস্ট করেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লেখেন, ‘’সরকার এই বিল আইনে পরিণত করে দেশে সুপার এমার্জেন্সি ব্যবস্থা চালু করতে চাইছে।
বুধবার লোকসভার অধিবেশনে কেন্দ্রের তরফে মোট তিনটি বিল লোকসভায় পেশ করা হয়। সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল প্রশাসন (সংশোধনী) বিল ২০২৫, সংবিধান (১৩০ তম সংশোধনী) বিল ২০২৫ এবং জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্বিন্যাস (সংশোধনী) বিল ২০২৫। জানা গিয়েছে, এই বিলগুলি আনার মূল লক্ষ্যই হল সংবিধানের সংশোধন। আর তার লক্ষ্যেই সংসদে পেশ করা হয় এই বিলগুলি।
55
কী রয়েছে বিলে?
এই বিল আইনে পরিণত হলে সারা দেশের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য হবে। জম্মু ও কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) মুখ্যমন্ত্রী, মন্ত্রীরাও এই আইনের আওতায় থাকবেন। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবিত বিলে সংবিধানের ৭৫, ১৬৪ ও ২৩৯ এএ ধারা সংশোধনের কথা বলা হয়েছে। এছাড়া ২০১৯ সালের জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন আইনের ৫৪ নম্বর ধারা সংশোধনের কথাও বলা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘এটা আশা করা হয় যে মন্ত্রীদের কাজকর্ম সন্দেহের ঊর্ধ্বে থাকবে। কোনও মন্ত্রীর বিরুদ্ধে যদি গুরুতর অপরাধের অভিযোগ থাকে, তাঁকে গ্রেফতার বা আটক করা হয়, তাহলে তিনি সংবিধানের নৈতিকতা রক্ষা করতে পারেননি। তাঁর উপর মানুষ যে সাংবিধানিক আস্থা রেখেছিল, তা ভঙ্গ হয়েছে।’ কেন্দ্রীয় সরকারের আশা, লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাশ হয়ে যাবে এই বিল।