এনআইএ-র জালে লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণের মূল চক্রী হরপ্রীত সিং, ইন্দিরা গান্ধী বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার

২০২১ সালে লুধিয়ানা আদালতে বোমা হামলার নেপথ্যে এই হরপ্রীত সিং-ই মূল ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন বলে দাবি জাতীয় তদন্তকারী দলের। 

Web Desk - ANB | Published : Dec 2, 2022 5:22 AM IST

দিল্লির ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সন্ত্রাসী এবং লুধিয়ানা আদালতে বোমা হামলার নেপথ্যে থাকা প্রধান ষড়যন্ত্রকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানাল ভারতের জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা। এনআইএ-র পক্ষ থেকে শুক্রবার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন এক উচ্চ পদস্থ আধিকারিক।

এনআইএ-র এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, পঞ্জাবের অমৃতসরের বাসিন্দা হরপ্রীত সিং ওরফে হ্যাপি মালয়েশিয়াকে কুয়ালালামপুর থেকে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পরপরই আটক করে নেওয়া হয়।

২০২১ সালে লুধিয়ানা আদালতে বিস্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। আইইডি ব্যবহার করে সেই বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছিল। ঘটনার পর পঞ্জাব-এ প্রাথমিকভাবে বিস্ফোরণের মামলাটি দায়ের করা হয় ২০২১ সালের ২৩ ডিসেম্বর লুধিয়ানা জেলা কমিশনারেটের কাছে। এরপর ২০২২ সালের ১৩ জানুয়ারী এই কাণ্ডের তদন্তভার হস্তান্তর করা NIA-এর কাছে।

 


 

এনআইএ মুখপাত্রের মতে, "তদন্ত থেকে জানা গেছে যে পাকিস্তানের স্বঘোষিত শিখ জঙ্গি সংগঠন ইন্টারন্যাশনাল শিখ ইউথ ফেডারেশনের প্রধান নেতা লখবীর সিং রোড়ের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন এই হরপ্রীত সিং। লখবীর সিং রোড়ের তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী। রোড়ের সঙ্গে একসাথে মিলে তিনি লুধিয়ানা কোর্ট বিল্ডিং বিস্ফোরণের ষড়যন্ত্র করেছিলেন।" তদন্তের মাধ্যমে এও জানা গেছিল যে, এই বিস্ফোরণের মশলা আনা হয়েছিল হ্যাপি মালয়েশিয়ার মাধ্যমেই। পঞ্জাবের অমৃতসরের মান্ডি কালান গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এই ‘হ্যাপি’ অর্থাৎ হরপ্রীত।

ওই আধিকারিক আরও জানিয়েছেন যে, তিনি লুধিয়ানা কোর্ট কমপ্লেক্স হামলায় ব্যবহৃত কাস্টম-মেড ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (আইইডি) সরবরাহের তত্ত্বাবধান করেছিলেন, যা পাকিস্তান থেকে তার ভারত-ভিত্তিক সহযোগীদের কাছে স্থানান্তরিত হয়েছিল।


 

এনআইএ জানিয়েছে, গ্রেফতার হওয়া হ্যাপি মালয়শিয়া এর আগে বিস্ফোরক, বন্দুক এবং মাদকদ্রব্য চোরাচালান সহ আরও বেশ কয়েকটি মামলায় জড়িত এবং ‘ওয়ান্টেড’ ছিল। তদন্তভার পেয়ে হরপ্রীতের সম্পর্কে কোনওরকম তথ্য দিতে পারলে তথ্যজ্ঞাপককে ১০ লক্ষ টাকা নগদে পুরস্কার দেওয়ার কথাও ঘোষণা করেছিলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা।

পূর্বে, এই হরপ্রীতের বিরুদ্ধে বিশেষ এনআইএ আদালত একটি অ-জামিনযোগ্য পরোয়ানা জারি করেছিল এবং একটি লুক আউট সার্কুলার (এলওসি) খোলা হয়েছিল। এনআইএ মুখপাত্রের মতে, এই মামলার আরও তদন্ত চলছে।





আরও পড়ুন-
ব্যস্ততা সত্ত্বেও মানুষের জীবনের সঙ্গে আপোষ নয়, কনভয় থামিয়ে অ্যাম্বুল্যান্সকে জায়গা দিতে বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে তরুণীদের মৃত্যু হলেও তার জন্য সরকার দায়ী নয়: সুপ্রিম কোর্টকে জানাল কেন্দ্র
পশ্চিমী ঝঞ্ঝার প্রভাবে শীতের পথে বাধা, স্বাভাবিকের চেয়ে ওপরেই রইল অধিকাংশ জেলার তাপমাত্রা

Share this article
click me!