সংক্ষিপ্ত
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নেই। সরকার শুধুমাত্র জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে দেশের নাগরিকদের উৎসাহ দিচ্ছে।
কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়ার পরে মারা যাওয়ার কারণে সুপ্রিম কোর্টের কাছে পিটিশন দায়ের করেছিলেন দুই তরুণীর বাবা-মা। যৌথভাবে করা সেই পিটিশন খারিজ করার জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টকে অনুরোধ করল কেন্দ্র সরকার।
পিটিশনের প্রতিক্রিয়া জানতে দেশের সর্বোচ্চ আদালতের নোটিশের পরিপ্রেক্ষিতে একটি ২৭৬ পৃষ্ঠার উত্তর পাঠিয়েছে কেন্দ্র সরকার। সেই উত্তরে জানানো হয়েছে যে, কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনটি ছাড়পত্র পাওয়ার আগে একটি কঠোর নিরাপত্তা পর্যালোচনা এবং নিয়ন্ত্রক অনুমোদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে গেছে।
আরেকদিকে, দুই তরুণীর বাবা-মাও জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা কেন্দ্র সরকারের প্রত্যেকটি পদক্ষেপকে প্রতিহত করতে থাকবেন।
ভারতে ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় দুই তরুণীর মৃত্যু ঘিরে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলার নিরিখে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করে কেন্দ্র। কেন্দ্রের বক্তব্য, যদিও এই মৃত্যু খুবই মর্মান্তিক, তবুও, এর কারণ হিসেবে সরকারকে দোষী সাব্যস্ত করা যাবে না। ২৩ নভেম্বরের হলফনামায় সুপ্রিম কোর্টকে স্পষ্ট করে দেয় কেন্দ্র।
আদালতকে কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে যে, কোভিড ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যবাধ্যকতা নেই। শুধু তাই নয়, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত কোনও মৃত্যু হয়ে তার জন্য দায়ী সরকার নয়। কেন্দ্র জানিয়েছে, সরকার শুধুমাত্র জনস্বার্থে ভ্যাকসিন নিয়ে দেশের নাগরিকদের উৎসাহ দিচ্ছে।
২৩ নভেম্বরের হলফনামায় বলা হয়, ‘কেন্দ্র সরকার জোরদারভাবে উৎসাহ দিচ্ছে সমস্ত যোগ্য ব্যক্তিকে ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য। তবে, এর পাশাপাশি এটাও জানানো হচ্ছে যে, ভ্যাকসিন নেওয়া নিয়ে কোনও আইনি বাধ্যতা নেই।’ উল্লেখ্য, ভ্যাকসিন সংক্রান্ত মৃত্যু ঘিরে ওই মামলার নিরিখে, গত ২৯ অগস্ট কেন্দ্রকে একটি নোটিস পাঠায় সুপ্রিম কোর্ট। এই মৃত্যুতে একটি নিরপেক্ষ কমিটি গড়ে তার দ্বারা তদন্তের কথা বলা হয়। নির্দিষ্ট সময়ে অটোপসির রিপোর্টও পেশ করতে বলে আদালত।
এই মামলার আর্জিতে দাবি করা হয়েছে যে, ভ্যাকসিনের জেরে ওই তরুণীদের মৃত্যুর ঘটনায় যেন তার বাবা মাকে ক্ষতিপূরণের অর্থ দেওয়া হয়। এছাড়াও ভ্যাকসিনের পার্শ্বপ্রক্রিয়ায় অসুস্থতা ঘিরে সরকারের গাইডলাইনও সামনে আনার দাবি করা হয়েছে মামলায়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্রের জবাব, AEFI-এর তথ্য অনুযায়ী, মেডিসিনের মতো সমস্ত ভ্যাকসিনেরও কিছু না কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া থাকে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক বলছে, ভ্যাকসিন নেওয়ার আগে এমন বিকল্পও আছে যেখানে তিনি ভ্যাকসিন সম্পর্কে সম্পূর্ণ খোঁজ নিয়ে, তবে টিকা নিতে পারেন। এবিষয়ে চিকিৎসকের পরামর্শের প্রসঙ্গও জানিয়েছে কেন্দ্র। সরকারের দাবি, কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে সমস্ত তথ্য ‘পাবলিক ডোমেনে’ রয়েছে।
আরও পড়ুন-
আগামী বছরের শুরুতেই জি ২০-র অতিথিরা আসছেন পশ্চিমবঙ্গে, মোদীর জরুরি বৈঠকে থাকছেন মমতা
ভদ্র স্বভাবের তমালই আসলে বাংলাদেশের জামাত জঙ্গি ম্যাক্সন? ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর হতবাক হরিদেবপুরের বাসিন্দারা