ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন বালেশ্বরে? এবার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শুক্রবার দুঃস্বপ্নের রাত বালেশ্বরে। ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা দাড়িয়ছে ২৮৮। আহত হয়েছেন ৯০০-এরও বেশি যাত্রী। কিন্তু ঠিক কী কারণে ঘটল এত বড় দুর্ঘটনা? সিগন্যালিং সিস্টেমের ব্যর্থতাই কি কারণ? নাকি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ অনুযায়ী অ্যান্টি কলিশন সিস্টেম না থাকাই এই দুর্ঘটনার কারণ? ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন বালেশ্বরে? এবার দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব।
শনিবার দিনভর ঘটনাস্থলেই দেখা গিয়েছে অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। সেখানেই একাধিকবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। ঠিক কী কারণে ঘটল এই মর্মান্তিক ঘটনা? সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'দুর্ঘটনার কারণ চিহ্নিত করা গিয়েছে। কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি বালেশ্বর ট্রেন দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখবেন। কে বা কারা এর জন্য দায়ী তাও জানা গিয়েছে।' তিনি আরও বলেন,'ইলেকট্রনিং ইন্টারলকিং সিস্টেম পরিবর্তনের কারণেই এই দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। আপাতত আমাদের প্রথম কাজ পরিস্থিতি দ্রুত নিয়ন্ত্রণে এনে রেল পরিষেবা স্বাভাবিক করা।'
দুর্ঘটনার জেরে উপড়ে গিয়েছে বালেশ্বর রুটের বাহানাগা স্টেশনের কাছের রেললাইন। ছাড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে ট্রেনের বগির ভাঙা অংশ। দুর্ঘটনার জেরে প্রচুর ট্রেন বাতিল হওয়ায় বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরাও। এই পরিস্থিতিতে যত তারাতারি সম্ভব ট্রেন পরিষেবা স্বাভাবিক করা যায় ততই মঙ্গল। তবে কবে থেকে আবার স্বাভাবিক হবে পরিষেবা? শনিবার অবশেষে এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী। শনিবার রাতে অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন,'উদ্ধারকাজ সম্পন্ন হয়েছে। আজ রাত থেকেই রেললাইন পুনরুদ্ধারের কাজ শুরু করে দেওয়া হচ্ছে। রবিবার সকাল থেকে লাইন পরিষ্কার, লাইন পুনর্নির্মাণ এবং ওভারহেড তারে বিদ্যুতের কাজ চলবে। সোমবার সকাল থেকে শুরু হবে সিগন্যালিং সিস্টেম পুনরুদ্ধারের কাজ। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় করা করা হচ্ছে সমস্ত কাজ।'