পরিস্থিতির উন্নতির কোনও লক্ষণ নেই। মঙ্গলবার ৬০ হাজারের উপরে ছিল সংক্রমণ। কিন্তু বুধবার সেই সংখ্যাটা আবার অনেকটাই বেড়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৬৭ হাজার ১৫১ জন। ফলে দেশে মোট আক্রান্তের সংখ্যা এবার ৩২ লক্ষ ছাড়াল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে ভারতে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩২ লক্ষ ৩৪ হাজার ৪৭৫।
এদিকে গত ২ দিন দেশে করোনায় দৈনিক মৃতের সংখ্যা ৯০০ নিচে ছিল। বুধবার সেই সংখ্যাটা হাজার ছাড়িয়ে গেল। গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ রোগে প্রাণ কেড়েছে ১,০৫৯ জনের। ফলে ভারতে এখনও পর্যন্ত এই রোগের বলি ৫৯ হাজার ৪৪৯ জন।
এইসবের মধ্যে আশার আলো দেখাচ্ছে সুস্থতার হার। দেশে করোনাজয়ীর সংখ্যা বর্তমানে ২৪ লক্ষ ৬৭ হাজার ৭৫৯। ফলে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা এখন ৭ লক্ষ ৭ হাজার ২৬৭। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৬৩ হাজার ১৭৩ জন। সুস্থতার হার ইতিমধ্যে ৭৫ শতাংশ ছাড়িয়েছে। মৃত্যুহার রয়েছে ২ শাতংশের নিচে।
প্রতি দিন যে সংখ্যক মানুষের পরীক্ষা হচ্ছে তার মধ্যে যত শতাংশের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসছে সেটাকেই বলা হচ্ছে পজিটিভিটি রেট বা সংক্রমণের হার। মঙ্গলবার তা সাত শতাংশের নীচে নামলেও, বুধবার কিছুটা বেড়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণ হার ৮.১৫ শতাংশ। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, মঙ্গলবার গোটা দেশে ৮ লক্ষ ২৩ হাজার ৯৯২ কোভিড টেস্ট হয়েছে। সব মিলিয়ে ভারতে এ পর্যন্ত ৩ কোটি ৭৬ লক্ষ ৫১ হাজার ৫১২ টি নমুনার কোভিড পরীক্ষা হয়েছে।
করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যু দু’টি তালিকাতেই এখনও শীর্ষে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে মোট আক্রান্ত ৭ লক্ষ ৩ হাজার ৮২৩ জন। দ্বিতীয় স্থানে থাকা তামিলনাড়ুতে মোট আক্রান্ত তিন লক্ষ ৯১ হাজার ৩০৩। অন্ধ্রপ্রদেশেও উল্লেখযোগ্য ভাবে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এই রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৩৯ জন। চতুর্থ স্থানে থাকা কর্নাটকে আক্রান্তের সংখ্যাটা ২ লক্ষ ৯১ হাজার। এর পর রয়েছে উত্তরপ্রদেশ ও দিল্লি । তবে আশার কথা দিল্লিতে ক্রমেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আসছে।
এদিকে করোনা আক্রান্তের তালিকায় শীর্ষে থাকা মহারাষ্ট্রে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ২৩৯। এরপরেই সক্রিয় রোগীর সংখ্যায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তামিলনাড়ু। রাজ্যটিতে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৮৯ লক্ষ ৯৩২।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় আমেরিকা ও ব্রাজিলে নতুন আক্রান্তের সংখ্যা যথাক্রমে ৩৮ হাজার ১২০ ও ৪৭ হাজার ১৩৪ জন। অর্থাৎ আমেরিকা ও ব্রাজিলের তুলনায় ভারত দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যায় এখনও এগিয়ে। বিশ্বে প্রথম স্থানে থাকা আমেরিকাতে মোট আক্রান্ত বর্তমানে ৫৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ও দ্বিতীয় স্থানে থাকা ব্রাজিলে আক্রান্ত ৩৬ লক্ষ ৬৯ হাজার।