বাসস্ট্যান্ডে পড়ে রয়েছে করোনা রোগীর দেহ, মুখ বাঁচাতে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

  • প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাতে করোনার ভয়ঙ্কর ছবি
  • বাসস্ট্যান্ডে পড়ে রয়েছে করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ
  • প্রশ্ন উঠছে হাসপাতাল থেকে কীভাবে বাসস্ট্যান্ডে এল দেহ 
  • তাঁদের কিছুই জানান হয়নি দাবি করছে মৃতের পরিবার

Asianet News Bangla | Published : May 18, 2020 4:15 AM IST / Updated: May 18 2020, 09:49 AM IST

করোনা নিয়ে ক্রমেই বাড়ছে আতঙ্ক। এর মধ্যেই এক ভয়াবহ ছবি দেখা গেল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য গুজরাতে। রাজধানী আহমেদাবাদের এক বাসস্ট্যান্ডে পড়ে রয়েছে করোনা আক্রান্ত এর ব্যক্তির নিহর দেহ। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই রাজ্য জুড়ে হইচই শুরু হয়ে যায়। নড়েচড়ে বসে গুজরাত সরকার। পিঠ বাঁচাতে তড়িঘড়ি তদন্তের নির্দেশ দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি।

জানা গিয়েছে করোনা আক্রান্ত মৃত ওই ব্যক্তির নাম ছগন গুপ্ত। ৬৭ বছরের ওই প্রৌঢ়কে গত ১০ মে আহমেদাবাদের সিটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর ২ দিন পর তাঁর করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। কীভাবে হাসপাতালে ভর্তি ছগনের দেহ বাইস্ট্যান্ডে পড়ে রইল তার কোনও সদুত্তর দিতে পারছে না প্রশাসন।

করোনা ফের ঘটিয়ে দিল মিরাকল, কাঠমান্ডুতে বসেই এবার দেখা গেল এভারেস্টের চূড়া

করোনাভাইরাসে এবার ঝুঁকির মুখে ছোটরাও, আশঙ্ক প্রকাশ 'হু'-র, নিউইয়র্কে দেখা মিলল বিরল উপসর্গের

করোনা আক্রান্ত ইউরোপে পথ দেখাল এই দেশ, মহামারীর সমাপ্তি ঘোষণা করল স্লোভেনিয়া

মৃতের ছেলে বলেন, ১৫ মে তাঁদের কাছে পুলিশের ফোন আসে ৷ ছগন গুপ্তের দেহ দানিলিমাড়া ক্রসরোডে বাস র‍্যাপিড ট্রানজিট সিস্টেম স্টেশনে পাওয়া গিয়েছে বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানান হয়। পুলিশই দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। মাঝখানে কীভাবে কী হয়েছে, তার কোনও কিছুই তাঁদেরকে জানানো হয়নি বলেই পরিবারের দাবি।

 ছগন গুপ্তের পরিবারের আরও অভিযোগ, ময়নাতদন্তের পরেই তাঁদের বলা হয় দেহটি নিয়ে গিয়ে সৎকার করতে। এজন্য অবশ্য কোনও রকম সুরক্ষা বা নিরাপত্তা দেওয়া হয়নি তাঁদের, শুধু বলা হয়েছিল দেহ প্লাস্টিকে মুড়িয়ে রাখতে।

এদিকে আহমেদাবাদ সিটি হাসপাতালের দায়িত্বপ্রাপ্ত অফিসার ডাঃ এমএম প্রভাকর জানিয়েছেন, '' রোগীর উপসর্গ খুব জটিল ছিল না। নতুন প্রোটোকল অনুযায়ী, তাঁকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে থাকতে বলা হয়। ১৪ মে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেইসমসয় তিনি যথেষ্ট সুস্থ ছিলেন।"  ডাঃ প্রভাকর আরও জানান, ''হাসপাতালের গাড়ি তাঁকে বাড়ি নিয়ে যায়। কিন্তু বাড়ির সামনের রাস্তায় যানজট থাকায় নিকটবর্তী একটি বাস স্ট্যান্ডে ছেড়ে দেওয়া হয়।'' কিন্তু ছগন গুপ্তের পরিবারকে না জানিয়েই তাঁকে ছুটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করছেন তাঁর পরিজনরা।

এদিকে করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ এভাবে প্রকাশ্যে পড়ে থাকতে দেখে নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে। দ্রুত সেই ভয়ঙ্কর ছবি ছড়িয়ে পড়ে নেট দুনিয়ায়। পরিস্থিতি সামলাতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গোটা ঘটনার তদন্ত রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানি। 

এদিকে দেশে করোনা আক্রান্ত রাজ্যগুলির মধ্যে প্রথম সারিতে রয়েছে গুজরাত। গত ২৪ ঘণ্টায় প্রধানমন্ত্রীর রাজ্যে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩৯১ জন, মৃত্যু হয়েছে ৩৪ জনের। ফলে গুজরাতে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছেন ১১,৩৮০ ও ৬৫৯। এদিকে করোনার মৃত্যু হারে দেশের মধ্যে মহারাষ্ট্রের পরেই রয়েছে গুজরাত। রাজ্যটিতে বর্তমানে করোনায় মৃত্যুর হার ৫.৫ শতাং, যা জাতীয় মৃত্যুহারের থেকে অনেকটাই বেশি। 

Share this article
click me!