দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ছাড়াল ৫০ হাজার, বাড়ল মৃতের সংখ্যা

  • দেশে করোনার দৈনিক সংক্রমণ ৫০ হাজার ছাড়াল
  • ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন
  • মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৫৮ জনের
  • দৈনিক সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ

Asianet News Bangla | Published : Jun 27, 2021 5:36 AM IST

করোনার দৈনিক সংক্রমণের গতি ফের ঊর্ধ্বমুখী। শনিবার সংক্রমিতের সংখ্যা ৫০ হাজারের নিচে নেমে গিয়েছিল। কিন্তু, রবিবার সংক্রমিতের সংখ্যা ছাড়াল ৫০ হাজার। শনিবার করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৮ হাজার ৬৯৮। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫০ হাজার ৪০ জন। এর ফলে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ কোটি ২ লক্ষ ৩৩ হাজার ১৮৩।

আরও পড়ুন- করোনা রুখতে ১৯ নয়া কনটেইনমেন্ট জোন হাওড়ায়, বসল গার্ড রেল, আজ থেকেই বন্ধ বাজার

আক্রান্তের সংখ্যার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বেড়েছে মৃতের সংখ্যাও। শনিবার মৃতের সংখ্যা ছিল ১ হাজার ১৮৩। কিন্তু, রবিবার তা খানিকটা বেড়ে গিয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ২৫৮ জনের। এর ফলে দেশে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ লক্ষ ৯৫ হাজার ৭৫১। 

অ্যাক্টিভ কেস, অর্থাৎ চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা এখন ৬ লক্ষের নিচে রয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে চিকিৎসাধীন করোনা রোগীর সংখ্যা ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪০৩। মাসখানেক আগেই এই সংখ্যাটা ছিল ৩৭ লক্ষের উপরে। 

আরও পড়ুন- রাজ্য়ে কোভিডে একদিনে মৃত্যু কমে ৩২, ভরা বর্ষায় ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়ায় আক্রান্ত একাধিক

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৫৭ হাজার ৯৪৪ জন। ফলে দেশে এখনও পর্যন্ত মোট করোনা জয়ীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২ কোটি ৯২ লক্ষ ৫১ হাজার ২৯ জন। সুস্থতার হার ৯৬.৭৫ শতাংশ। অন্যদিকে, ইন্ডিয়ান মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল বা আইসিএমআরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শনিবার ১৭ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩০৯ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। সব মিলিয়ে শনিবার পর্যন্ত ভারতে কোভিড-১৯ এর জন্য ৪০ কোটি ৪২ লক্ষ ৬৫ হাজার ১০১ জনের নমুনা পরীক্ষা হয়েছে। 

আরও পড়ুন- ২০০০০ বছর আগেই এসেছিল করোনা মহামারি, মানুব DNA-গবেষণায় পাওয়া গেল তার ছাপ

তবে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের গতি নিম্নমুখী হলেও এখন উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনার তৃতীয় ঢেউ। কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই এই ঢেউ দেশে আছড়ে পড়বে বলে জানিয়েছেন এইমস প্রধান রণদীপ গুলেরিয়া। আর সেই কারণে যতটা দ্রুত সম্ভব দেশবাসীর টিকাকরণ সম্পন্ন করতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। এরই মধ্যে করোনার এক নতুন প্রজাতি ডেল্টা প্লাসের খোঁজ পেয়েছেন গবেষকরা। এই প্রজাতির মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ব্রিটেনে সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে দিয়েছে। এদিকে এই মুহূর্তে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে করোনার সংক্রমণ কম থাকায় শুরু হয়েছে আনলক প্রক্রিয়া। এই পরিস্থিতিতে দেশবাসীকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। বিশ্বের মধ্যে করোনা সংক্রমণের নিরিখে শীর্ষে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর সেই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত। 

Share this article
click me!