মহামারির এই দেশে পুজোর সময় আশার আলো দেখাচ্ছে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক 'কোভ্যাক্সিন'। ভারত বায়োটেকের বিকাশ করা এই প্রতিষেধক খুব তাড়াতাড়ি তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল পরিচালনা করবে। দেশের ২৬ হাজার মানুষেকে নিয়ে ২৫টি কেন্দ্রে এই পরীক্ষা হবে। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল ইতিমধ্যেই ভারত বায়োটেককে তৃতীয় পর্বের পরীক্ষার জন্য ছাড়পত্র দিয়েছে। এই প্রতিষেধক প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বের পরীক্ষায় সাফল হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। তৃতীয় পর্বের পরীক্ষায় সাফল্য পাওয়ার পরই প্রতিষেধকের মান যাঁচাই করা যাবে বলেও সংস্থার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
হায়দরাবাদের ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বিশ্বের দশটি দেশ তাঁদের তৈরি প্রতিষেধক নিয়ে ইতিমধ্যেই আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে বেশ কয়েকটি দেশ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য সেই তাদের দেশের দরজা খুলে দেওয়ার কথা বলেছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকটি দেশ প্রতিষেধক তৈরির বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে তৃতীয় পর্বের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল দেশের ১৪-১৫ রাজ্যে করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
লাদাখে ধৃত চিনা সেনাকে নিয়ে জল্পনা এখনও তুঙ্গে, তার কাছ থেকে কী কী পাওয়া গেছে জেনে নিন .
সময় খারাপ ইমরান খানের, জঙ্গিদের সাহায্য করায় 'গ্রে লিস্ট'-এর খাঁড়া পাকিস্তানের মাথায়
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রথম ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে দেখে যাচ্ছে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে তাদের তৈরি প্রতিষেধক ৯০ শতাংশ পর্যন্ত অ্যান্টিবডি তৈরি করতে সক্ষম। প্রথম দুটি পর্বে প্রায় ১ হাজার স্বেচ্চাসেবীর ওপর করোনাভাইরাসের প্রতিষেধক প্রয়োগ করা হয়েছিল। কোনও রকম প্রতিকূল ঘটনা ছাড়াই দুটি পর্বের পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। কোভ্যাক্সিন সম্পূর্ণ নিরাপদ বলেও দাবি করা হয়েছে ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে।