ভারতের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখায় ধরা পড়া চিনা সৈন্যকে নিয়ে এখনও জল্পনা চলছে গোটা দেশ জুড়ে। চিনা সেনা কী পথ ভুল করেছিল নাকি ইচ্ছে করেই চলে এসেছিল ভারতের দিকে? এই সময়ই সেনা সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে পিপিলস লিবারেশন আর্মির ধৃত সেনার কাছে পাওয়া গেয়েছিল একটি পেন ড্রাইভ। তবে সেই পেন ড্রাইভটি খালি ছিল। তার সঙ্গে ছিল একটি স্লিপিং ব্যাগ। গত ১৯ অক্টোবর ডেমচক সংলগ্ন একটি স্থান থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ধৃত চিনা সেনার কাছে তার পরিচয়পত্রও পাওয়া গিয়েছিল বলেও সেনা সূত্রে খবর।
ধৃত চিনা সেনার নাম কর্পোরাল ওয়াং। চুসুল সীমান্ত চিনা সেনার হাতে তুলে দেওয়ার আগে প্রোটোকল মেনে সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখেছে ভারত। ধৃত চিনা সেনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট কর্মীর বিষয়ে প্রয়োজনীয় তদন্ত করা হয়েছে। আগেই ভারত জানিয়েছিল ধৃত চিনা সেনার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তাকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি অতি উচ্চতা ও অস্বাভাবিক আবহাওয়ার কারণে সে সামান্য অসুস্থ বোধ করছিল। তাই প্রয়োজনীয় পথ্য ও পোষাক তাকে দেওয়া হয়েছিল। ভারতের পক্ষ থেকে ভারতীয় নিখোঁজ জওয়ানদের খোঁজ পেলে তাদের ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে। সীমান্ত প্রোটোকল মেনেই সব কাজ সম্পন্ন হবে বলেও ভারতের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। কিন্তু চিনা সেনা কী কারণে ভারতে প্রবেশ করেছিল তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করা হয়নি।
ফেসবুকের আঁখি দাসকে জিজ্ঞাসাবাদ সংসদীয় কমিটির, হাজিরা এড়িয়ে গেল অ্যামাজন ...
করোনার 'অজুহাত' দেখিয়ে সংসদীয় কমিটি এড়াচ্ছে অ্যামাজন, ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলে ইঙ্গিত ...
গত এপ্রিল মাস থেকেই পূর্ব লাদাখ সেক্টরে চিনা সেনার আগ্রাসন বৃদ্ধি পেয়েছিল। জুন মাসে গ্যালওয়ানে দুই দেশের সেনা জওয়ানরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ২০ জন ভারতীয় জওয়ান প্রাণ হারান। তবে এখনও পর্যন্ত চিন লাল ফৌজের ক্ষতি নিয়ে মুখ খোলেনি। সীমান্ত উত্তাপ কমাতে ইতিমধ্যেই দুই দেশ একের পর এক কূটনৈতিক ও সামরিক বৈঠক করেছে। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও সমাধান সূত্র পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করেছে লাদাখের। ধীরে ধীরে বরফে ঢাকতে শুরু করেছে লাদাখের বিস্তীর্ণ এলাকা। এই পরিস্থিতিতে ভারত সেনা জওয়ানদের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখায় মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রবল ঠান্ডার মোকাবিলায় ঢেলা সাজানো হয়েছে পূর্ব লাদাখ সেক্টরের কর্তব্যরত সেনাবাহিনীকে।