রবিবার দেশে একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। সোমবার তার তুলনায় পরিস্থিতি কিছুটা ভাবল। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের শিকার হয়েছে ৪,৯৭০ জন। ফলে সোমবারই আক্রান্তের সংখ্যায় ভারত লক্ষের গণ্ডি পেরিয়ে গেল। বর্তমানে দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষ ১ হাজার ১৩৯ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা সংক্রমণে মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। ফলে ভারতে বর্তমানে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩,১৬৩।
বারণ করছেন দেশের বিশেষজ্ঞরা, বুড়ো আঙুল দেখিয়ে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন খেয়েই চলেছেন ট্রাম্প
একসঙ্গে করোনা আক্রান্ত ৬ কর্মী, গ্রেটার নয়ডায় কারখানা খুলেও বন্ধ করতে হল 'ওপো'-কে
ভারতে প্রথম করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছিল কেরলে। উহান থেকে আসা এক মেডিক্যাল পড়ুয়ার শরীরে মেলে মারণ ভাইরাস। এই ঘটনার ১০৯ দিন পরল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যা অনুযায়ী দেশে শেষ মাত্র ১২ দিনে আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে।
এখনও করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা দেশে এক নম্বরে রয়েছে মহারাষ্ট্র। রাজ্যটিতে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ২ হাজারেরও বেশি মানুষ। তবে এর মধ্যেই আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাঁদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়েয়েছে ৩৮.৮ শতাংশ। মৃত্যু হার ৩.১ শতাংশ।
এদিকে বিশ্বের তুলনায় ভারতে করোনা সংক্রমিতের হার নগণ্য, দাবি করছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। তাদের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি এক লক্ষ জনসংখ্যা-পিছু ভারতে করোনা আক্রান্ত মাত্র ৭.১। যেখানে অন্যান্য দেশে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় আক্রান্তের সংখ্যা কমপক্ষে ৬০। এক বিবৃতিতে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের তরফে বলে হয়, প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় এখনও পর্যন্ত ভারতে করোনা পজিটিভ কেস ৭.১। সেখানে গোটা বিশ্বে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় গড়ে এই সংখ্যাটা ৬০ এর কাছাকাছি।
আলাদা করে দেখলে, স্পেনে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় পজিটিভ কেস ৪৯৪। বিশ্বে এটাই সর্বোচ্চ। জনসংখ্যা ভিত্তিক সংক্রমণের হারে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা। প্রতিলক্ষে ৪৩১ জন সংক্রমিত। ইতালিতে প্রতি লক্ষ জনসংখ্যায় আক্রান্ত ৩৭২। ব্রিটেনে এই সংখ্যাটা প্রতি লক্ষে ৩৬১। এই পরিসংখ্যানই কোভিড-১ মোকাবিলায় ভারতকে আশার আলো দেখাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতে বর্তমানে অ্যাকটিভ করোনা কেস রয়েছে ৫৬,৩১৬। সেরে উঠেছেন ৩৬ হাজার ৮২৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়ে উঠেছেন ২,৭১৫ জন।