গত বছর ডিসম্বের করোনা সংক্রমণ প্রথম দেখা দিয়েছিল চিনের উহানে। তারপর দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসতে থাকে সংক্রমণের খবর। সেই সময় চিনে একের পর এক কোরান আক্রান্ত হওয়ার খবর আমাদের আতঙ্কিত করেছিল। এবার করোনা আক্রান্তের পরিসংখ্যানে সেই দেশকেই ছাপিয়ে যেতে চলেছে ভারত। চিনে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮২,৯২৯। সেখানে স্বাস্থ্যমন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী শুক্রবার সকালে এদেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৮১,৯৭০। দেশে যেভাবে আক্রান্তের হার বাড়ছে তাতে আশঙ্কা করা হচ্ছে শনিবারের মধ্যে চিনকে ছাপিয়ে যাবে ভারত।
গত ২৪ ঘণ্টায় এদেশে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ৩,৯৬৭ জন। মারা গিয়েছেন ১০০ জন। ফলে দেশে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২,৬৪৯। করোনা সারিয়ে ভারতে সুস্থ হয়েছেন ২৭,৯২০ জন। ফলে দেশে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা এখন ৫১,৪০১।
লকডাউন করেও দেশের করোনা পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আয়ত্বে নেই। দেশের মধ্যে এখনও করোনা আক্রান্ত ও মৃতের হারে এগিয়ে রয়েছে মহারাষ্ট্র। তারপরেই রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর রাজ্য গুজরাত। গত চব্বিশ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১,৬০২ জন। রাজধানী দিল্লিতে বৃহস্পতিবার ৪৭২ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। মধ্যপ্রদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৩১৪ জন, রাজস্থানে সংখ্যা ২০৬। পরিস্থিতি অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে এলেও কেরলেও নতুন করে সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বৃহসপ্তিবার কেরলে ২৬ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে।
মৃত্যু মিছিলে স্পেনকে ছাড়িয়ে গেল ফ্রান্স, গোটা বিশ্বে মারণ ভাইরাসের বলি ৩ লক্ষের বেশি
আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে খুশি মালিয়া এবার দিতে চান নিজের টাকা, বদলে মুক্তির কাতর আর্জি
এদিকে দেশে করোনা আক্রান্ত প্রথম দশটি রাজ্যের মধ্যে সুস্থ হওয়ার নিরিখে এগিয়ে রয়েছে রাজস্থান। এই রাজ্যে ৫৭ শতাংশ করোনা রোগীই আরোগ্য লাভ করেছেন। এর পরেই রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও উত্তরপ্রদেশ। এদিকে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়ালেও সুস্থতার হার কেবল মাত্র ২৯ শতাংশ। আর সুস্থতার হারে সবচেয়ে পিছিয়ে রয়েছে পঞ্জাব। এই রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১,৯২৪ হলেও সুস্থতার হার মাত্র ৯ শতাংশ।