বছরের শুরুতেই স্বস্তি, এক ধাক্কায় কমল দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা, বাড়ল সুস্থতার হারও

১ জানুয়ারি রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেল অনেকটাই কমেছে কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বছরের শুরুতে এই খবর স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে।

Web Desk - ANB | Published : Jan 1, 2023 8:19 AM IST

নতুন বছরের শুরুতেই সুখবর। এক ধাক্কায় নামল কোভিড গ্রাফ। বছরের প্রথম দিনই স্বস্তির খবর দিল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। গত ২৪ ঘন্টায় শুধু কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা যে কমেছে তাই নয়, বেড়েছে দৈনিক সুস্থতার হারও। উৎসবের মেজাজে কোভিডের বাড়বাড়ন্ত চিন্তায় ফেলেছিল প্রশাসনকে। ২৫ ডিসেম্বর থেকেই উৎসবের আনন্দে মেতে ওঠে দেশবাসী। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণ বাড়ার ঝুঁকি অনেকটাই বেড়ে যায়। কিন্তু ১ জানুয়ারি রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গেল অনেকটাই কমেছে কোভিড অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। বছরের শুরুতে এই খবর স্বস্তি দিয়েছে দেশবাসীকে।

রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের প্রকাশিত রিপোর্টে দেখা গিয়েছে গত ২৪ ঘন্টায় অনেকটাই কমেছে কোভিডের অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা। শনিবার প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী দেশে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩,৬৫৩। ১ জানুয়ারি রবিবার যা কমে দাঁড়ায় ২,৭০৬। গত ২৪ ঘন্টায় করোনা মুক্ত হয়েছেন ১২০৯ জন। বছরের শুরুতে এই নিম্নমুখী কোভিড গ্রাফ অনেকটাই স্বস্তি দিচ্ছে। তবুও বছর শুরুর আনন্দ কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শ দিচ্ছে প্রশাসন।

শনিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের রিপোর্ট অনুযায়ী শেষ ২৪ ঘন্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে ২২৬ জন। দেশে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৫৩। পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২৪ ঘন্টায় দেশে ৪৪টি নতুন অ্যাকটিভ কেস বেড়েছে। শুক্রবারও কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা ছিল ২৪৩ জন।

শুধু মেট্রো সিটিগুলিতে নয়, সংক্রমণ বাড়ছে জেলাগুলিতেও। সবচেয়ে বেশি আশঙ্কায় পর্যটনকেন্দ্রগুলি। ইতিমধ্যেই গয়ায় কোভিড পজিটিভ এসেছে বুদ্ধগয়া ভ্রমণে আসা চার বিদেশী যাত্রীর। আপাতত আইসোলেশনে রাখা হয়েছে তাঁদের। এই পরিস্থিতিতে আজই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের ভার্চুয়াল বৈঠক করবেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবিয়া। এই পরিস্থিতির মধ্যেই রোজ বাড়ছে দেশের দৈনিক কোভিড সংক্রমণও। সোমবার সকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী রবিবারের তুলনায় সোমবার সংক্রমণ আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সংমণের দিক থেকে এগিয়ে মহারাষ্ট্র। দিল্লি এবং মুম্বইতে নর্দমায় ভাইরাসের আরএনএ পাওয়া গিয়েছিল আগে। ক্রিসমাসের পর দেশজুড়ে আরও বাড়ল সংক্রমন। গত ২৪ ঘন্টায় দেশের ২৩১ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। পাশাপাশি উদ্বেগ বাড়িয়ে আগ্রায় হদিশ মিলেছে এক করোনা আক্রান্তের। জানা যাচ্ছে চিন থেকে সদ্য ফিরেছিলেন তিনি। সোমবার সকালে এই খবর রীতিমত চিন্তায় ফেলেছে প্রশাসনকে। সংক্রমণ রুখতে বিমানবন্দরগুলিতে নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সতর্কতা। একাধিক রাজ্যে কোভিড বিধি মেনে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।

Share this article
click me!