ভারতে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়ার সম্ভাবনা কতটা, জানালেন বিশেষজ্ঞ

এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে।

Saborni Mitra | Published : Mar 8, 2022 5:49 PM IST

করোনাভাইরাসের (Coronavirus) প্রথম ও দ্বিতীয় তরঙ্গের ভয়াবহতা দেখেছে ভারত। ওমিক্রনের (Omicron) কারণে এই দেশের কোভিড-১৯এর (COVID-19) তৃতীয় তরঙ্গও আছড়ে পড়েছে। এই অবস্থায় এই দেশে কি চতুর্থ তরঙ্গে (4th Wave) আছড়ে পড়বে না - এখানেই শেষ হবে করোনা মহামারির প্রাদুর্ভাব এই প্রশ্নটা উঠছেই। কারণ বর্তমানে অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে দেশের জনজীবন। খুলতে শুরু করেছে স্কুল আর কলেজ। রেস্তোরাঁ থেকে মল সর্বত্রই দেখা যাচ্ছে স্বাভাবিক ছন্দ। এই অবস্থাতে করোনাভাইরাস মহামারি নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছেন ভাইরোলজিস্ট টি জ্যাকব। তিনি বলেছেন ভারতে তৃতীয় তরঙ্গ শেষ হচেছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোভিডএর অন্য কোনও রূপ দেখা যায়নি। তাতেই আশা করা যায় এই দেশে করোনাভাইরাসের চতুর্থ তরঙ্গ আছড়ে পড়বে না।  জ্যাকব আরও বলেন দেশটি মহামারির শেষ পর্বে পৌঁছে গেছে। আর এই দেশে চতুর্থ তরঙ্গের কোনো হুমকি নেই। 

জ্যাকব আরও বলেছেন, তিনি মনে করেন, এই দেশে করোনাভাইরাস স্থানীয় একটি রোগে পরিণত হয়েছে। আক্রান্ত ও দৈনিক গড় বিশ্লেষণ করে এই দাবি করেছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায় এই সংখ্যা আগামী চার সপ্তাহ ধরে সামান্য ওঠানামা করবে। তবে তাতে ভয়ের কিছু নেই। আগামী চার সপ্তাহ এটি এই দেশে মহামারির পর্যায়ে থাকবে। ভারতের সমস্ত রাজ্যেই একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

তবে জ্যাকব সতর্ক করে বলেছেন,  যদি অপ্রত্যাশিত আলফা, বিটা, গামা বা ওমিক্রনের পর নতুন কোনও রূপ দেখা  না দেয় তাহলেই ভারত মহামারির হাত থেকে নিস্তার পাবে। এখনও পর্যন্ত এই দেশে তেমন ভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি কোভিডের নতুন কোনও প্রজন্মকে। তাই তিনি এই আশার আলো দেখছেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, কোভিড কখনই পুরোপুরি মিলিয়ে যাবে না। এটি ছোটখাটো রোগে পরিণত হবে। মাঝে মাঝেই প্রাদুর্ভাব ঘটবে। তবে তিনি এখনও রোগের ওপর নজরদারি ও জিন সিকোয়েন্সিংয়ের ওপর জোর দিয়েছেন। তিনি বলেছেন কোনও মিউটেশন সনাক্ত করার জন্য এটি জরুরি। 

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী এদিন ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৯৯৩। যা ৬৬২ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ম। জ্যাকব মনে করিয়ে দিয়েছেন ইনফ্লুয়েঞ্জা মহামারি দুই বা তিনটি তরঙ্গের পরই শেষ হয়ে যায়। এক্ষেত্রেও সেই জিনিসই হবে। 

রাশিয়াকে আরও কোনঠাসা করতে উদ্যোগ আমেরিকার, নিষেধাজ্ঞা রুশ তেল আমদানিতে

অস্ট্রেলিয়ার বৃষ্টিভেজা রাস্তায় কি ভিনগ্রহী পড়ে রয়েছে, জোর আলোচনা সোশ্যাল মিডিয়ায়

Share this article
click me!