Crime News: ৪ কোটি টাকার জন্য স্বামীকে খুন স্ত্রীর, প্রেমিকের সঙ্গে ৪০০ কিলোমিটার দূরে পোড়ালো দেহ

রহস্য বা ডিটেকটিভ উপন্যাসকেও হারিয়ে দিল কর্ণাটকের পুলিশ। অজ্ঞাতপরিচয় সম্পূর্ণ পুড়ে যাওয়া লাস নিয়ে তদন্ত করতে গিয়ে সামনে আনল ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড। যার মূল অভিযুক্ত স্ত্রী আর তার প্রেমিক।

 

Saborni Mitra | Published : Oct 28, 2024 2:02 PM IST
111
পরিচয়হীন পোড়া লাস

মাত্র সপ্তাহ তিনেক আগে কর্ণাটকের কোডাহু জেলায় একটি কফি বগানে উদ্ধার হয়েছিল একটি অজ্ঞাত পরিচয় পোড়া দেহ। কার দেহ, কোথা থেকে এল তা নিয়ে তদন্তে নেমে ভয়ঙ্কর হত্যাকাণ্ড সামনে আনল পুলিশ।

211
ব্যবসায়ীর পরিচয়

৫৪ বছরের ব্যবসায়ীর নাম রমেশ। স্ত্রীর করা ডায়েরি অনুযায়ী কয়েক সপ্তাহ ধরেই তিনি নিখোঁজ রয়েছেন। তদন্তে নেমে সেটাই জানতে পারে পুলিশ।

311
স্ত্রী ও প্রমিক- মূল অভিযুক্ত

তদন্তে নেমে পুলিস জানতে পারে স্ত্রীর নাম নীহারিক পি। তার প্রেমিক নিলিখ। এই ঘটনায় আরও একজন অভিযুক্ত, তার নাম অঙ্কুর। তিনজনেই যুক্ত ছিল হত্যাকণ্ডের সঙ্গে। তিন জন সুপরিকল্পনা কেরই খুন করেছিল ব্যবসায়ীকে। তিন জনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

411
মৃতদেহ উদ্ধার

৪ অক্টোবর পুলিশ কফিবাগান থেকে প্রায় সম্পূর্ণ দগ্ধ অবস্থায় একটি দেহ উদ্ধার করে। মৃতদেহ সনাক্ত করা যায়নি। তাই পুলিশের তদন্তে একমাত্র ভরসা এই এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ।

511
সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান

সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করতে শুরু করে। একটি লাল মার্সিডিজ বেঞ্জ তাদের নজর কেড়েছে। এই গাড়িটি রমেশ নামে রেজিস্ট্রেশন করা আছে। বাড়ি তেলাঙ্গনায়। যার স্ত্রী সম্প্রতি একটি নিখোঁজ অভিযোগ নথিভুক্ত করেছিলেন। কর্ণাটক পুলিশ তেলাঙ্গনা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে।

611
কীভাবে খুন

পুলিশ তদন্তে নেমে জানতে পারে রমেশের স্ত্রী নীহারিকাই এই হত্যাকণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ব্যবসায়ীকে তেলাঙ্গনার উৎপলে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। তারপর দেহ প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দূরে কোন্ডা জেলায় নির্জন কফি বাগানের মধ্যে ফেলে দেয়। কম্বল মুড়ে তরপর আগুন লাগিয়ে দেয়। জেলায় স্ত্রী নীহারিকা খুনের কথা স্বীকার করেছে।

711
খুনের কারণ

রমেশ বিয়ের পর থেকেই নীহারিকার সব আবদার মিটিয়েছিল। নীহারিকা সম্প্রতি তার কাছ থেকে ৪ কোটি টাকা দাবি করেছিল। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করে রমেশ। তই চার কোটি টাকার জন্যই এই খুন।

811
নীহারিকার অতীত

পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে নীহারিকার অতীর ভাল নয়। বাবা-মা বিবাহবিচ্ছিন্ন। মা বিয়ে করেন। নীহারিকা পড়াশুনায় ভাল ছিল। ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রী। চাকরিও করত। কিন্তু রমেশ নীহারিকার দ্বিতীয় স্বামী।

911
নীহারিকার অতীত

আগেও নীহারিকার বিয়ে হয়েছিল। পরবর্তীকালে ডিভোর্স হয়ে যায়। আর্থিক প্রতারণার অভিযোগে নীহারিকাকে জেল খাটতে হয়েছিল। সেখানেই আলাপ অঙ্কুরের সঙ্গে।

1011
প্রেমিকের পরিচয়

নীহারিরার নিখিল পেশায় পশু চিকিৎসক। দীর্ঘদিন ধরেই তাদের সম্পর্ক। বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক। রমেশ জানত না বলেও মনে করছে পুলিশ।

1111
স্বামীর সম্পত্তির জন্য খুন

স্বামীর কাছে থেকে ৪ কোটি টাকা চেয়েছিল নীহারিকা। সেই টাকা না পাওয়াতেই স্বামীর গোটা সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। সেই করণে পরিকল্পনা করেই খুন করেছিল। কিন্তু ঘটনার মাত্র তিন সপ্তাহের মধ্যেই খুনের পর্দাফাঁস হল।

Share this Photo Gallery
click me!

Latest Videos

Recommended Photos