রেলওয়ে আইন অনুযায়ী, দাহ্য পদার্থ ট্রেনে বহন করা যাবে না। বিশেষ করে গ্যাস সিলিন্ডার, আতসবাজির মতো অনেক জিনিসপত্র নিষিদ্ধ। কিন্তু, ট্রেনে ঘি নিয়ে যাওয়া যাবে কি?
দীপাবলির আগে ভারতীয় রেলের সব বড় স্টেশনেই নিরাপত্তা নিয়ে কড়াকড়ি করা হয়, দাহ্য পদার্থ নিয়ে কাউকে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয় না
ট্রেনে নিষিদ্ধ জিনিসপত্র বহনকারীদের বিরুদ্ধে রেলওয়ে আইন ১৯৮৯ এর ধারা ৬৭, ১৬৪, ১৬৫ ধারায় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ১,০০০ টাকা জরিমানা এবং তিন বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। বহন করা জিনিসপত্রের পরিমাণ এবং প্রকৃতির উপর নির্ভর করে, শাস্তি বাড়তে পারে।
লোকাল হোক বা দূরপাল্লার ট্রেন, দাহ্য পদার্থ সংক্রান্ত নিয়ম অত্যন্ত কঠোর
যাত্রীরা যখন ট্রেনে একটি পুরো বগি ভাড়া নেন, বা ভ্রমণের জন্য ট্রেনের বগি ভাড়া নেন, তখন দাহ্য পদার্থ বহন করবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকার নেওয়া হয়। আইআরসিটিসি তীর্থযাত্রী ট্রেনে যাত্রীদের আনা জিনিসপত্র রেলওয়ে সুরক্ষা দল দ্বারা পরীক্ষা করা হয়।
ভারতীয় রেলের পক্ষ থেকে দাহ্য পদার্থের তালিকা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, নিষিদ্ধ বস্তুগুলি নিয়ে ট্রেনে উঠতে দেওয়া হয় না
সাধারণত গ্যাস সিলিন্ডার, আতসবাজি, কেরোসিন, পেট্রোল, ডিজেল, ঢালাইয়ের সরঞ্জাম, শুকনো ঘাস এবং পাতা, বর্জ্য কাগজ, মৃত মুরগি, অ্যাসিড জাতীয় জিনিসপত্র ট্রেনে বহন করা যাবে না। বহন করলে আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ হবে।
ঘি নিয়ে কি লোকাল বা দূরপাল্লার ট্রেনে ওঠা যায়? কী বলছে রেলের নিয়ম?
কিছু জিনিসপত্র নির্দিষ্ট পরিমাণে বহন করার অনুমতি দেয় রেলওয়ে। সেই অনুযায়ী, যাত্রীরা ট্রেনে ঘি বহন করতে পারেন। তবে, ২০ কেজি পর্যন্তই বহন করা যাবে। তাও আবার ফাঁস হবে না এমনভাবে শক্ত করে বন্ধ করা টিনে নিরাপদে প্যাক করা থাকতে হবে।
ভারতীয় রেলে নিষিদ্ধ কোনও পদার্থ বহন করতে গিয়ে ধরা পড়লে কারাদণ্ডও হতে পারে
অনুমোদিত পরিমাণের বেশি ঘি বহন করলেও শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। তাই, ট্রেনে ভ্রমণকারীদের দাহ্য পদার্থ বহন না করে সহযোগিতা করা উচিত। রেলওয়ে বিভাগের নিয়ম মেনে দাহ্য পদার্থ ট্রেন ভ্রমণের সময় বহন করা যাবে না।