৩৭০ ধারা বিলুপ্তির এক বছর, বর্ষপূর্তির প্রাক্কালে জঙ্গি হামলা রুখতে শ্রীনগরে জারি হল কারফিউ

  • কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের  বর্ষপূর্তি বুধবার
  • তার আগেই শ্রীনগর জুড়ে জারি হল কারফিউ
  • উপত্যকায় নাশকতার আশঙ্কায় কারফিউ জারি করল প্রশাসন
  • ৫ আগস্ট 'কালা দিবস' পালনের পরিকল্পনা নিয়েছে  বিচ্ছিন্নতাবাদীরা

Asianet News Bangla | Published : Aug 4, 2020 2:54 AM IST / Updated: Aug 04 2020, 08:27 AM IST

২০১৯ সালের ৫ আগস্ট, ভারতের ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ দিন। এই দিনেই জম্মু-কাশ্মীরের জন্য সংবিধানের ৩৭০ ধারা রদ করে দেয় কেন্দ্র। যা তৈরি করে এক নতুন ইতিহাস।  তৈরি হয়েছিল দুটি পৃথক কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু-কাশ্মীর ও লাদাখ। এই ৩৭০ ধারা রদ নিয়ে উত্তাল হয়ে উঠেছিল দেশের রাজনীতি। উত্তাল হয়েছিল কাশ্মীপও। ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে তাই  চূড়ান্ত সতর্ক শ্রীনগর প্রশাসন। ইতিমধ্যে শহরে কারফিউ জারি করা হয়েছে।  ৪ আগস্ট মঙ্গলবার ও বুধবার ৫ আগস্ট কারফিউ জারি থাকবে কাশ্মীরে।

প্রশাসনের কাছে খবর ছিল ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে শ্রীনগরে হিংসাত্মক বিক্ষোভ দেখানোর ছক করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। তারপরেই তড়িঘড় কারফিড জারি করা হয়। শ্রীনগরের জেলাশাসক শাহিদ চৌধুরি বলেছেন, “আমরা খবর পেয়েছি বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী ও পাকিস্তানের মদতপুষ্ট কিছু দল  ৫ আগস্টকে কালো দিন হিসেবে দেখে। তাই এই দু’দিন উপত্যকায় হিংসা বাধানোর চেষ্টা চলতে পারে। নাশকতার সম্ভাবনাও আছে। তাই সবদিক দিয়েই নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হচ্ছে।”

আরও পড়ুন: ভারতীয় সেনার দাপটে আরও চাপে চিন ও পাকিস্তান, রাফালের পর এবার হাতে আসছে সাবমেরিন বিধ্বংসী রোমিও

গোয়েন্দারা আগেই জানিয়েছিল, আগামী ৫ আগস্ট ৩৭০ ধারা বাতিলের বর্ষপূর্তিতে কাশ্মীরজুড়ে 'কালা দিবস' পালনের পরিকল্পনা করেছে বিচ্ছিন্নতাবাদী এবং পাক মদতপুষ্ঠ বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী। বিশেষত শ্রীনগরে হিংসাত্মক বিক্ষোভের মাধ্যমে অশান্তি ছড়ানোর পরিকল্পনা করা হচ্ছে। এই খবর পাওয়ার পরেই বিশেষ তৎপর হয়ে ওঠে প্রশাসন। সম্ভাব্য অশান্তির আশঙ্কায় কারফিউ জারি করা হয়। পাশাপাশি  কোভিড সংক্রান্ত বিধিনিষেধের সময়সীমা ৫ অগস্ট থেকে বাড়িয়ে ৮ অগস্ট করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে টিকটক কিনে নিতে চাইছে মাইক্রোসফট, চুক্তি হলে ভারতেও ফেরার সম্ভাবনা

সরকারি নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, '৫ অগস্ট শ্রীনগরে  হিংসাত্মক বিক্ষোভের খবর পাওয়া গিয়েছে। যার ফলে সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পত্তিহানীর আশঙ্কা রয়েছে। এই রিপোর্টের পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য হিংসা আটকানো এবং জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় অবিলম্বে জেলায় কারফিউ জারি করা হচ্ছে।' খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষের চলাচলের উপরে সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই ২দিন বন্ধ থাকবে সমস্ত ধরনের জমায়েতও।
 

Share this article
click me!