ইন্টারনেট পরিষেবা নেই তাই রেশন পৌঁছায়নি। তিন দিন না খেতে পেয়ে আদিবাসীর মৃত্যুর ঘটনার দায় এভাবে ঝেড়ে ফেললেন ডিএম।
গত তিন দিন অনাহারে থাকার পর ঝাড়খণ্ডের লাতেহার জেলার ৬৫ বছরের বৃদ্ধ রামচরণ মুন্ডা মারা গিয়েছেন। রামচরণ মুন্ডার মেয়ে মীরা কুমারী আক্ষেপ করে বলেন, 'আমার বাবা স্রেফ না খেতে পেয়ে মারা গেল। পরিবারের তরফে জানানো হয় জেলা প্রশাসনকে জানিয়েও কোনো লাভ হয়নি।'
স্থানীয় মানুষরা জানাচ্ছে, শুধু রামচরণ নয় মারা যেতে পারে আরও ও বহু আদিবাসী। কেননা গোটা এলাকায় তিন মাস ধরে কোন রেশন পৌঁছাচ্ছে না।
ঘটনা জানাজানি হতেই সম্পূর্ণ দায় এড়াতে চাইছে প্রশাসন। জেলার সাবডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট সুবীর কুমার জানাচ্ছেন, এই এলাকার রেশন বায়োমেট্রিক কার্ড ভিত্তিক। সময় মতো সবার বাড়িতে রেশন পৌঁছে যায়। এখন ইন্টারনেট পরিষেবা খারাপ হওয়ায় এই রেশন পৌঁছাচ্ছে না।
এখানেই শেষ নয় তিনি আরও জানাচ্ছেন, রামচরনের মৃত্যু অনাহারেই হয়েছে এর কোন প্রমাণ নেই।
গোটা দেশ যখন একটি মৃত্যু নিয়ে শোকস্তব্ধ, একটি গোটা গ্রাম যখন মৃত্যুর দিন গুনছে, তখন প্রশাসনের এহেন সাফাই কার লজ্জা? সবকা সাথ সবকা বিকাশ স্লোগান দিয়ে ক্ষমতায় আসা সরকারের কানে এই খবর পৌঁছেছে কি ? যে দেশে ২৭০০০ কোটি টাকা খরচ করে ক্ষমতায় আসে একটি দল, সেখানে এখনও না খেতে পেয়ে মারা যায় মানুষ! এই লজ্জা কার?