Crores of Rupees: বাবার কেনা শেয়ারের কথা ভুলেই গিয়েছিল পরিবার, বৃদ্ধ বয়সে কোটিপতি হয়ে গেলেন মেয়ে

৪২০টি শেয়ার পরিণত হয়েছে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮০টি শেয়ারে , বাবা ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর এই শেয়ারের একমাত্র মালিক হন তাঁর মেয়ে।

Sahely Sen | Published : Jan 31, 2024 2:06 AM IST / Updated: Jan 31 2024, 07:38 AM IST

১৯৭০-এর দশকে বর্তমান ভারতের অন্যতম বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠী আইটিসি লিমিটেডের ৪২০টি শেয়ার কিনেছিলেন এক ব্যক্তি। পরে এই শেয়ারগুলোর কথা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল তাঁর পরিবার। তবে তাঁরা ভুলে গেলেও, সময়ের সঙ্গে চক্রবৃদ্ধির জাদুতে দাম বাড়তে থাকে শেয়ারগুলোর।

বছরের পর বছর ধরে বোনাস এবং শেয়ার বিভাজনের ফলে ২০১৭ সালে ওই ৪২০টি শেয়ার পরিণত হয় ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮০টি শেয়ারে। আর তখন এগুলোর মূল্য দাঁড়ায় সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি। বাবা ও ভাইয়ের মৃত্যুর পর এই শেয়ারের একমাত্র মালিক হন তাঁর মেয়ে।


তবে এই বিপুল সম্পত্তির দাবি আদায় করা সহজ হয়নি মেয়ের জন্য। এর জন্য রাঁচির বাসিন্দা মেয়েকে পেরোতে হয়েছে জটিল আইনি বাধা।

 

শেয়ারগুলোর দাম অনেক বেশি হওয়ায় সেগুলো মেয়ের নামে স্থানান্তর করার জন্য কোনো উপযুক্ত আদালত থেকে উত্তরাধিকারের সনদ (সাকসেশন সার্টিফিকেট) জোগাড় করার প্রয়োজন ছিল। এ প্রক্রিয়া শুরু হয় হরিদ্বারের আদালতে। তাঁর মতো বয়স্ক মানুষের জন্য রাঁচি থেকে এত দূরে যাতায়াত করে আদালতে হাজিরা দেওয়া ছিল অত্যন্ত কষ্টকর।


তবে আইনি জটিলতা পেরিয়ে উত্তরাধিকারের সনদ সংগ্রহ করেন তিনি। শুধু বাকি ছিল আইটিসি থেকে শেয়ারগুলো বুঝে পাওয়া। এটাও আরেক বড় বাধা হয়ে আসে । কারণ এর জন্য প্রচুর কাগজপত্রের প্রয়োজন ছিল। শেয়ার স্থানান্তরের জন্য প্রয়োজনীয় সব শর্ত পূরণ ও নথি জোগাড়ের পরও বারবার প্রত্যাখ্যান করা হয় মেয়েকে।

 

একপর্যায়ে বাইরের কারও সাহায্য নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন বৃদ্ধার ছেলে । ‘শেয়ার সমাধান’ নামে একটি বিনিয়োগকারী শিক্ষা ও সুরক্ষা তহবিল (আইইপিএফ) প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন তাঁরা। বৃদ্ধার যে ধরনের কাগজপত্র প্রয়োজন, ওইসব কাজ সামলানোতে বিশেষভাবে দক্ষ কোম্পানিটি।

 

শেয়ার সমাধান প্রথমেই উত্তরাধিকার সনদে মেয়ের বাবার নাম যোগ, সনদটি হিন্দি থেকে ইংরেজিতে অনুবাদের মতো কাজগুলো হালনাগাদ করে নেয়। তারপর আইটিসিকে শেয়ার স্থানান্তরের জন্য চিঠি দেয়। কিন্তু তারপরও আইটিসি সেই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।


এরপর আরও কয়েক মাস কাজ করতে হয় শেয়ার সমাধানকে। কোম্পানিটি মেয়ে শর্মার পক্ষ থেকে আইটিসিতে ফোন করে, চিঠি ও ইমেইল পাঠায়। এমনকি আইটিসির অফিসেও যায় তাদের টিম। অবশেষে, মোট ১ লাখ ৭৩ হাজার ৮৮০টি ইকুইটি শেয়ার মেয়ের নামে স্থানান্তর করে। যার বর্তমান মূল্য সাড়ে ৬ কোটিরও বেশি।

 

বাবার রেখে যাওয়া ৪২০টি শেয়ারের দৌলতে মেয়ে এখন কোটিপতি।

Share this article
click me!