২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বড়সড় পা ফেলতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল, তেমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার হয়ত সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই গোয়ায় জমি শক্ত করার কাজ শুরু হল।
জাতীয় রাজনীতির মানচিত্রে পায়ের তলার জমি শক্ত করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বড়সড় পা ফেলতে চলেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল (Mamata Banerjee’s Trinamool Congress), তেমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বুধবার হয়ত সেই পদক্ষেপের অংশ হিসেবেই গোয়ায় জমি শক্ত করার কাজ শুরু হল। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী (Former Goa Chief Minister) এবং কংগ্রেস নেতা লুইজিনহো ফ্যালিরো (Congress leader Luizinho Faleiro) এদিনই যোগ দেবেন তৃণমূল কংগ্রেসে। তবে তিনি একা নন, তাঁর সঙ্গে যোগ দেবেন আরও তিনজন।
বুধবার তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন পন্ডার প্রাক্তন বিধায়ক লাভু মামলেদার, সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত এন শিবদাস এবং পরিবেশবিদ রাজেন্দ্র শিবাজি কাকোদকর। সংবাদসংস্থা এএনআই জানাচ্ছে ফ্যালিরো গোয়ার দুবারের মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বিধায়ক হিসেবে পদত্যাগ করেছেন। তাঁর পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে গোয়া বিধানসভার স্পিকারের কাছে।
পদত্যাগের পর পানাজিতে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রাক্তন গোয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় জনতা পার্টিকে (বিজেপি) বাংলায় প্রবেশে বাধা দিতে লড়াই করেছেন এবং সফল হয়েছেন। তিনি নারীর ক্ষমতায়নের প্রতীক - তিনিই একমাত্র দেশকে ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনতে পারেন।
চলতি বছরের মে মাসে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে তৃণমূলের জয়ের পর অনেক বিজেপি নেতাও সম্প্রতি দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়, বিজেপির জাতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় এবং তিনজন বিজেপি বিধায়ক সম্প্রতি তৃণমূলে চলে এসেছেন।
সূত্রের খবর কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে মতোবিরোধের কারণেই বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন ফালেইরো। ইতিমধ্যে তিনি তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি প্রস্তাব পেয়েছে। অন্যদিকে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবারই ভবানীপুর বিধানসভা উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে দলের অবস্থান স্পষ্ট করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন অসম ত্রিপুরার মত উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্যগুলির পাশাপাশি গোয়াতেও শক্তি বাড়াতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।