দিল্লি নির্বাচন ২০২০, মেরুকরণ হল কিন্তু বিজেপি-র জন্য হল বুমেরাং

Published : Feb 11, 2020, 04:28 PM IST
দিল্লি নির্বাচন ২০২০, মেরুকরণ হল কিন্তু বিজেপি-র জন্য হল বুমেরাং

সংক্ষিপ্ত

দিল্লি বিধানসভা ২০২০-র ভোটে মেরুকরণ করতে চেয়েছিল বিজেপি। সরাসরি শাহিনবাগের বিপক্ষে ভোট চেয়েছিলেন নেতারা। তাতে কি আদৌ লাভ হল গেরুয়া শিবিরের? নাকি আখেড়ে তা বুমেরাং হয়ে গেল?  

দিল্লি বিধানসভা ২০২০-র ভোটে মেরুকরণ করতে চেয়েছিল বিজেপি। এতে কোনও সন্দেহ নেই। সম্প্রদায়ের ভিত্তিতে সরাসরি না হলেও, নাহরিকত্ব আইনের প্রশ্নে দিল্লির ভোটে মেরুকরণ চেয়েছিল তো বটেই। খোলাখুলি অমিত শাহ-নরেন্দ্র মোদীরা জনসভায় বলেছেন, ইভিএম-এ স্পষ্ট করে দিতে হবে  আপনি শাহিনবাগ-এর পক্ষে না বিপক্ষে। তবে এর আড়ালে ছোট-মাঝারি মাপের নেতাদের দিয়ে 'ভারত-পাকিস্তান'এর লড়াই', 'গোলি মারো', 'মুঘলরাজ ফিরে আসবে'-র মতো মন্তব্য করিয়ে সাম্প্রদায়িক মেরুকরণের চেষ্টাও ছিল। কিন্তু ইভিএম-এ তা কিন্তু আখেড়ে বুমেরাং হয়ে গেল গেরুয়া শিবিরের জন্য

কয়েকটা পরিসংখ্যান দেখলেই তা স্পষ্ট হয়ে যাবে। ওখলা আসন থেকে আম আদমি পার্টির বিশিষ্ট মুসলিম নেতা আমানতউল্লা খান ৯১,০০০-এরও বেশি বোটে জয়ী হয়েছেন। ওখলা মুসলিম অধ্যুষিত এলাকাই শুধু নয় এই কেন্দ্রের মধ্য়েই পড়ে শাহিনবাগ ও জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়। যে দুই জায়গা-কে সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। এই আসন থেকে আমানতউল্লা খানের জয় মোটেই বিস্ময়কর নয়। ২০১৫ সালেও আমানতউল্লা-ই জিতেছিলেন। কিন্তু, সেইবার তাঁর জয়ের ব্যবধান ছিল ৬৫,০০০। অর্থাৎ, এইবার জয়ের ব্যবধান বেড়েছে ২৬,০০০-এরও বেশি।

আবার সিএএ বিরোধী আন্দোলন-কে কেন্দ্র করে যে সিলামপুর-এ হিংসা ছড়িয়ে পড়েছিল, সেই সিলাম পুর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে আপ প্রার্থী আবদুল রহমান জয়ী হয়েছেন বিজেপির দক্ষ মিশ্র-কে পরাজিত করে। গতবার আপ প্রার্থী এখানে ৫১.২৫ শতাংশ ভোট পেয়েছিলেন আর কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছিলেন ২১.২৮ শতাংশ ভোট। এবার কংগ্রেসের ভোটের প্রায় সবটাই চলে এসেছে আপ-এর ঝুলিতে। সিলামপুর-ও একটি মুসলিম অধ্যুষিত বিধানসবা কেন্দ্র।

দুটি উদাহরণ থেকে সম্পূর্ণ চিত্রটা স্পষ্ট না হলেও প্রবণতাটা বোঝা সম্ভব। এটা বোঝাই যাচ্ছে, বিজেপি-র একটানা মেরুকরণের প্রচেষ্টায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ব্যাপকভাবে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পক্ষে ভোট দিয়েছে। মুসলিম ভোট সংহত হয়েছে আম আদমি পার্টির পক্ষে । কিন্তু, অপরদিকে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটে এতটা মেরুকরণ ঘটেনি। নাহলে ফলাফল বিজেপি-র পক্ষে এতটা হতাশাজনক হত না। বরং, অধিকাংশ জায়গাতেই কেজরিওয়াল, তাঁর 'সফট হিন্দুত্ব' (হনুমান চল্লিশা পাঠ ও হনুমান মন্দিরে পূজো দেওয়া)-এর রাজনৈতিক ভারসাম্য ও তাঁর কাজের জোরে হিন্দু ভোট ধরে রেখেছেন।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

দেশজুড়ে বিমান বিপর্যয়ে মোদীর নিশানায় ইন্ডিগো, উড়ান পরিষেবায় কাঁটছাট কেন্দ্রের
এনডিএ বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে কেন সম্মান? শীতকালীন অধিবেশনের ৭ম দিনে কী হবে?