কী এই কৃত্রিম বৃষ্টি? যা ধুয়ে ফেলতে পারে দিল্লির ভয়ঙ্কর বায়ুদূষণ - রইল ক্ষয়ক্ষতির তালিকাও

দিল্লির দূষণ ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। দিল্লির বাতাসে বিষ। ব্যহত হচ্ছে জনজীবন। এই অবস্থায় জাতীয় রাজধানীতে নিঃশ্বাস নেওয়াই দায়। বাতাসের গুণগত মান ৫০০র নিচে ।

ভয়ঙ্কর এই দূষণের হাতে থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য দিল্লির আপ সরকার এবার কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের দাবি করেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হস্তক্ষেপে দাবি করেছে।

দিল্লি সরকার জানিয়েছে, কেন্দ্রের অনুমতি পেলেই কৃত্রিমভাবে দিল্লিতে বৃষ্টির ব্যবস্থা করা হবে।

দিল্লির আপ সরকার ইতিমধ্যেই বায়ু দূষণকে মেডিক্যাল এমার্জেন্সি হিসেবে ঘোষণা করেছে। দিল্লির পরিস্থিতি মরশুমের সব থেকে খারাপ পর্যায়ে পৌঁছে গিয়েছে।

দিল্লির বায়ু দূষণের মার ক্রমশই খারাপ হচ্ছে। সোমবার ছিল ৪৮১, আজ , মঙ্গলবর তা বেড়ে ৫০০ ছুঁয়েছে। সবথেকে খারাপ পরিস্থিতি জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম, মুনকা , নর্থ ক্যাম্পাস, ওয়জিরপুর।

কৃত্রিম বৃষ্টিপাত হলো প্রকৃতির ওপর বৈজ্ঞানিক প্রভাব খাটিয়ে সংঘটিত বৃষ্টিপাত। এ জন্যে প্রথমত মেঘ সৃষ্টি করতে হয়; দ্বিতীয় পর্যায়ে এই মেঘকে বৃষ্টিপাতের উপযোগী অবস্থায় নিয়ে আসতে হয় এবং শেষে মেঘ গলিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটান হয়।

রাসায়নিক ব্যবহার করে মেঘ সৃষ্টি করা হয়। ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড, ক্যালসিয়াম কার্বাইড, ক্যালসিয়াম অক্সাইড, ইউরিয়া এবং লবণ মিশ্রিত একটি রাসায়নিক অথবা ইউরিয়ার সঙ্গে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট মিশিয়ে প্রস্তুত একটি রাসায়নিক মেঘ সৃষ্টিতে ব্যবহার করা হয়।

রাসায়নিকের সাহায্যে মেঘপুঞ্জ তৈরি করা হয়। এ প্রক্রিয়ায় রান্নার লবণ বা সোডিয়াম ক্লোরাইড, টি-১ ফর্মুলা, ইউরিয়া, অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, শুকেনো বরফ এবং কখনো কখনো ক্যালসিয়াম ক্লোরাইড ব্যবহার করা হয়। এতে মেঘের দ্রুত ঘনীভবন হয় এবং তা পতনশীল অবস্থায় পৌছেঁ।

মেঘের ওপর সিলভার আয়োডাইড নামক রাসায়নিক পদার্থের স্ফটিকদানা ছড়িয়ে মেঘের আর্দ্রতাকে বড় বড় জলের ফোঁটায় পরিণত করা হয়। তাই মেঘ আকাশে ভাসতে না পেরে মাটিয়ে এসে পড়ে।

কয়েকটি প্রতিবেদন অনুসারে কৃত্রিম বৃষ্টির ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন হতে পারে। ক্লাউড সিডিঁ যদি সঠিক ভাবে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে বন্যা, ঝড়, শিলাবৃষ্টি হতে পারে। দুবাইতে বন্যার কারণ ছিল কৃত্রিম বৃষ্টি।