এর আগে অভিযুক্ত তরুণী বেশ কয়েকবার একাধিক জনকে বিয়ে করলেও বিষয়টি জানানি হয়নি। কিন্তু, সম্প্রতি সুধা সিংহ নামের এক প্রাক্তন উপাচার্যকে ঠকিয়ে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করতেই বিষয়টি নজরে আসে।
এ যেন বাস্তবের ‘ঠগিনী’। লোভ দেখিয়ে একের পর এক পুরুষের মন জয় করে বিয়ে করতেন তরুণী, তারপর সম্পত্তি হাতিয়ে নিয়ে এমন জায়গায় গা ঢাকা দিতেন, যেখান থেকে তাঁর টিকিটিও খুঁজে পেতেন না কোনও প্রতারিত ‘স্বামী’। এমনই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে দিল্লির NCR এলাকায়।
প্রথমে বাড়ির কাজকর্ম করে দেওয়ার ছলে ভিতরে ঢুকতেন ওই তরুণী, তারপর ছলচাতুরি করে পরিবারের সব সদস্যদের মন জয় করে নিতেন তিনি। বাড়িতে কোনও বিবাহ-যোগ্য ব্যক্তি থাকলে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁকে বিয়ে করার জন্য রাজি করিয়ে নিতেন তিনি। তবে, তিনি একা নন। তাঁর ছিল একটি বড়সড় দল। সেই দলের সদস্যদের নিজেরপরিবারের লোকজন হিসেবে সাজিয়ে নিয়ে এসে ধুমধাম করে বিয়ে করতেন প্রতারক তরুণী।
অভিযোগ আসতেই তদন্ত করে তাঁকে চিহ্নিত করতে ফেলেছে দিল্লি পুলিশ। জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সি তরুণীর নাম প্রীতি। এর আগে তিনি বেশ কয়েকবার একাধিক জনকে বিয়ে করলেও বিষয়টি জানানি হয়নি। কিন্তু, সম্প্রতি সুধা সিংহ নামের এক প্রাক্তন উপাচার্যকে ঠকিয়ে সম্পত্তি হাতানোর চেষ্টা করতেই বিষয়টি নজরে আসে। প্রাক্তন উপাচার্যর মেয়ে প্রীতির বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন যে, প্রীতি তাঁর বাবার সম্পত্তির মধ্যে একটি দোতলা বাড়ি নিজের নামে লিখিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন, যে বাড়ির মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
সুধা সিংহ নামের ওই উপাচার্যর ছেলে শিবম মানসিক দিক থেকে ভারসাম্যহীন, তাঁকে নিয়ে তাঁর বাবা খুবই চিন্তিত থাকতেন। এই দুশ্চিন্তার সুযোগ নিয়ে প্রীতি শিবমকে বিয়ে করতে চান এবং সেই বিয়ে সম্পন্নও হয়ে যায়। সুধা সিংহ বিয়ের কিছুদিন পরেই মারা যান। তখন তাঁর মেয়ে আকাঙ্ক্ষা নিজের ভাই শিবমের দায়িত্ব নিতে এলে প্রীতি তাঁকে জানান যে, শিবমের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়ে গেছে এবং তিনি এখন সুধা সিংহের সম্পত্তির দাবিদার।
এরপর প্রীতি শিবমকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন বলেও অভিযোগ। এই কাজে প্রীতিকে সাহায্য করতেন তাঁর দলের সচিন ও পারভেজ নামের দুই যুবক। আকাঙ্ক্ষার অভিযোগের ভিত্তিতে সচিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কিন্তু, প্রীতি এবং পারভেজ-কে এখনও পর্যন্ত গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। প্রীতি যে এর আগেও আরও ৪ জনকে বিয়ে করেছিলেন, সেই কথা পুলিশকে জানিয়েছেন ধৃত সচিন।