মেবরাউলির একটি পুকুর থেকে শ্রদ্ধার কাটা মাথা উদ্ধার করতে পুকুরের সব জল ছেঁচে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এতো লোকবল না থাকায় পুকুরে ডুবুরি নামানোর পরিকল্পনা করলো দিল্লি পুলিশ। .
শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধানে রবিবার সকাল থেকেই তৎপর ছিল দিল্লি পুলিশ। মেবরাউলির একটি পুকুর থেকে শ্রদ্ধার কাটা মাথা উদ্ধার করতে পুকুরের সব জল ছেঁচে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পুলিশ। কিন্তু এতো লোকবল না থাকায় পুকুরে ডুবুরি নামানোর পরিকল্পনা করলো দিল্লি পুলিশ। .
প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য আফতাব গ্রেপ্তারের পর পার হয়েছে এক সপ্তাহ কিন্তু এখনও খুনের প্রমান জোগাড় করতে পারলেন না তদন্তকারী পুলিশের দল। গত ছ মাসেরও বেশি সময় ধরে অপরাধ চাপা রেখেছিলেন আফতাব। অপরাধের প্রমানও লোপাট করেছেন সন্তর্পনে। রক্তের দাগ মুছেছেন ভ্যাকুম ক্লিনার দিয়ে।মৃতদেহটিকেও ৩৫ টি টুকরো করেও সেগুলিকেও নিস্পত্তি করেছেন একে একে।শ্রদ্ধার লাশ কাটতে যে ছুরি ব্যবহার করেছিল আফতাব সেটাও পাওয়া যায়নি এখনও। দেহাংশ যা পাওয়া গেছে তা এখন পুরোপুরি কঙ্কালসার। যা দেখে একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না যে ওটা শ্রদ্ধার দেহাংশ কিনা। শোনা যায় আমেরিকার একটি ক্রাইম সিরিজ দেখে তিনি শিখেছিলেন অপরাধের প্রমান লোপাটের এই কৌশল। কিন্তু প্রমান ছাড়া কোর্টে অপরাধের কোনো যৌক্তিকতা নেই ।তাই সেই প্রমান খোঁজার চেষ্টায় এখন পুকুরে ডুবুরি নামানোর পরিকল্পনা দিল্লি পুলিশের।
সূত্রের খবর শ্রদ্ধার বয়ফ্রেন্ড তথা অভিযুক্ত আফতাব পুনাওয়ালা তদন্তকারীদের ইতিমধ্যেই জানিয়েছে সে প্রমাণ লোপাটের জন্য শ্রদ্ধার কাটা মাথা একটি পুকুরে ফেলেছে । আর সেই কথার ওপর ভিত্তি করেই দিল্লি পুরসভার একটি পুকুরে তল্লাশি চালায় সেই মাথা উদ্ধারের উদ্দেশ্যে। প্রথমে জল নিষ্কাশনের কথা ভাবলেও পরে পুলিশ তার সিদ্ধান্তের পুনর্মূল্যায়ন করে এবং পুকুরে ডুবুরি নামানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে প্রমান জোগাড়ের উদ্দেশ্যে ইতিমধ্যেই দিল্লি পুলিশের একটি দল ইতিমধ্যেই মুম্বইতে পৌঁছে গেছে। খুনের তদন্তের জন্য আরও তথ্য একত্রিত করছে। কারণ শ্রদ্ধা আর আফতাবের আলাপ বা প্রেম পর্বের শুরু মুম্বইতে। একটি ডেটিং অ্যাপের মাধ্যমে আলাপ হয়েছিল। তারপরই তাদের প্রেম। পরিবারের অমতেই তারা সম্পর্ক চালিয়ে যায়। মুম্বই থেকে চলে আসে দিল্লিতে। সেখানে লিভ-ইন সম্পর্ক স্থাপন করে একই সঙ্গে থাকতে শুরু করে।
আফতাব তদন্তকে বিভ্রান্ত করার জন্য নানান গল্প ফাঁদছেন। এমনকি ঘন ঘন বিবৃতি পরিবর্তন করার কারণে পরিস্থিতিগত প্রমাণ শনাক্ত করা এবং সংগ্রহ করাও একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে দিল্লি পুলিশের কাছে । আফতাব পুনাওয়ালার নারকো টেস্ট সম্ভবত সোমবার অনুষ্ঠিত হবে কারণ পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত শেষ হচ্ছে রবিবার।
আরও পড়ুন
যমজ সন্তানের মা হলেন ইশা আম্বানি, ছেলে ও মেয়ের নাম রাখলেন কৃষ্ণ এবং আদিয়া