আফতাব গ্রেপ্তারের পর পার হয়েছে এক সপ্তাহ কিন্তু এখনও খুনের প্রমান জোগাড় করতে পারলেন না তদন্তকারী পুলিশের দল।তবে কি এবার ছাড় পাবে আফতাব ?
উপযুক্ত প্রমান না পাওয়ায় তবে কি এবার ছাড় পেয়ে যাবে আফতাব ? বিশ্লেষণ করে এমন মন্তব্যই করছেন বিশেষজ্ঞমহলের একাংশ। আফতাব গ্রেপ্তারের পর পার হয়েছে এক সপ্তাহ কিন্তু এখনও খুনের প্রমান জোগাড় করতে পারলেন না তদন্তকারী পুলিশের দল। গত ছ মাসেরও বেশি সময় ধরে অপরাধ চাপা রেখেছিলেন আফতাব। অপরাধের প্রমানও লোপাট করেছেন সন্তর্পনে। রক্তের দাগ মুছেছেন ভ্যাকুম ক্লিনার দিয়ে।মৃতদেহটিকেও ৩৫ টি টুকরো করেও সেগুলিকেও নিস্পত্তি করেছেন একে একে।শ্রদ্ধার লাশ কাটতে যে ছুরি ব্যবহার করেছিল আফতাব সেটাও পাওয়া যায়নি এখনও। দেহাংশ যা পাওয়া গেছে তা এখন পুরোপুরি কঙ্কালসার। যা দেখে একেবারেই বোঝা যাচ্ছে না যে ওটা শ্রদ্ধার দেহাংশ কিনা। শোনা যায় আমেরিকার একটি ক্রাইম সিরিজ দেখে তিনি শিখেছিলেন অপরাধের প্রমান লোপাটের এই কৌশল। কিন্তু প্রমান ছাড়া কোর্টে অপরাধের কোনো যৌক্তিকতা নেই । যদিও আফতাব পুলিশকে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন যে তিনিই খুন করেছেন কিন্তু পুলিশকে দেওয়া কোনো স্বীকারোক্তিই কোর্টে গ্রহণযোগ্য হয় না। সব দিক থেকে বিচার করলে দেখা যাচ্ছে আফতাবের এই মর্মান্তিক খুনের কোনো শক্তিশালী প্রমান পাওয়া যায়নি এখনও। তবে কি প্রমানের অভাবে ছাড় পেয়ে যাবে আফতাবের মতো অপরাধী ?উঠছে প্রশ্ন।
যদিও এখনও চলছে জোরকদমে ফরেনসিক বিশ্লেষণ। প্রমান খুঁজতে তৎপরতা দেখাচ্ছে পুলিশ কিন্তু সঠিক প্রমান না পেলে মামলাটির জটিলতা আরও বাড়বে তা এবার স্পষ্ট। যেকোনো অপরাধেরই পরিস্থিতিগত প্রমান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ আদালতে। প্রমান ছাড়া আদালত কোনো কিছুই করতে পারবে না। তাই পরিস্থিতি সহজ করতেই নার্কো টেস্ট করার আদেশ দেয় আদালত। পুনাওয়ালার পাঁচ দিনের পুলিশ আটকের মেয়াদ শেষ হবার পর সোমবার রোহিণীর ডঃ বাবা সাহেব আম্বেদকর হাসপাতালে করা হবে তার নার্কো -অ্যানালাইসিস পরীক্ষাটি। এই পরীক্ষায় তেমন কিছু প্রমান পাওয়া গেলে তবেই আদালতে এই মামলাটি শক্তিশালী হবে।
দিল্লি পুলিশের একজন কর্মরত আধিকারিক জানান যে যেহেতু আফতাব ও শ্রদ্ধা একসঙ্গে বসবাস করতেন তাই আফতাবের শরীর থেকে যদি শ্রদ্ধার কিছু পাওয়া যায়। এবং যদি ডিএনএ টেস্ট করে প্রমান পাওয়া যায় যে সেটি শ্রদ্ধার তাহলে এটিও ডলতে একটি বড়ো প্রমান হিসেবে গণ্য হবে।
আরও পড়ুন
শ্রদ্ধার কাটা মাথার সন্ধান, পুকুর ছেঁচে খালি করে চিরুনি তল্লাশি দিল্লি পুলিশের
যমজ সন্তানের মা হলেন ইশা আম্বানি, ছেলে ও মেয়ের নাম রাখলেন কৃষ্ণ এবং আদিয়া