বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। ৩৪ থেকে এবার এক ধাক্কায় আরও চারজন সব মিলিয়ে ৩৮ জন প্রাণ হারাল দিল্লির হিংসায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। আহতের সংখ্যা ২০০ ছাড়িয়েছে। যদিও আহতদের বেশিরভাগই চিকিৎসার পর বাড়ি চলে গিয়েছেন।
লাভপুর হত্যাকাণ্ডে সাময়িক স্বস্তি, ২ মার্চ সিউড়িতে হাজিরা মুকুলের
নাগরিকত্ব আইনের বিরোধিতায় জ্বলছে গোটা রাজধানী। জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল আসার পর নিয়ন্ত্রণে এসেছে পরিস্থিতি। যদিও প্রতিদিন বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দিল্লির এই অশান্ত পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়ালকেও সমানভাবে দায়ী করেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী সনিয়া গান্ধী। এই অবস্থায় পরিস্থিতি সামল দিতে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন দিল্লির মুখ্য়মন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
জঙ্গলমহলের এই 'ফরেস্টম্য়ান' সারাটা জীবন রাত জেগে থাকতেন, 'জঙ্গলে আগুন লাগতো না তো'
দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী জানান, রাজধানীতে হিংসার ঘটনায় মৃতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে আপ সরকার। গুরুতর আহতদের দেওয়া হবে ৫ লক্ষ টাকা। যাদের বাড়ি পুড়েছে তারাও পাবেন ১০ লক্ষ টাকা করে। এছাড়া বেসরকারি হাসপাতালে যাদের চিকিৎসা চলছে 'ফরিস্তে' প্রকল্পের আওতয়া তাদেরও খরচ দেবে সরকার।
কেজরিওয়াল বলেন, দিল্লি সরকারের হাতে পুলিশ থাকলে রাজধানীর পরিস্থিতি এমন হত না। তবে বুধবারের পর দিল্লির পরিস্থিতি অনেকটাই স্বাভাবিক হয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দল আম আদমি পার্টির কেউ এই হিংসায় জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সাফ জানিয়েছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জাতীয় নিরাপত্তার বিষয় নিয়ে কোনওরকম রাজনীতি তিনি বরদাস্ত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী।
ডাক্তারদের আর্জি, হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল করল হাইকোর্ট
এদিকে ঘটনার পর থেকেই বিজেপি নেতা কপিল মিশ্রকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন বিরোধীরা। যদিও বিজেপির এই নেতা জানিয়েছেন, কোনও ধরনের উস্কানিমূলক ভাষণা দেননি তিনি। যারা রাস্তা বন্ধ করে রেখেছে তাদের উঠিয়ে দেওয়ার জন্য় দিল্লি পুলিশকে বলেছিলেন তিনি।