ডেল্টা, ডেল্টা প্লাস আর ল্যাম্বার কারণেই এদেশে তৃতীয় তরঙ্গ ভয়ঙ্কর আকার নিতে পারে। তবে পাহাড়ে পর্যটকদের ভিড়ও ভাবাচ্ছে বিশেষজ্ঞদের।
করোনাভাইরাসের তৃতীয় তরঙ্গ আসন্ন। তেমনই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। বর্তমানে ভারতে ডেল্টা আর ডেল্টা প্লাস- কোভিড ১৯এর এই দূটি রূপের প্রকোর দেখা গেলেও আতঙ্ক বাড়াচ্ছে করোনার আরও একটি রূপ ল্যাম্বডা (Lambda)। সাংসদ সংস্থা এনএআইকে একটি সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় চিকিৎসক এসকে সারিন বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেছেন,ল্যাম্বাদা স্ট্রেইনটি বর্তমানে ভারতে নেই। কিন্তু এটি যেকোনও মুহূর্তে দেশে আসতে পারে। আর সেটাই হবে সবথেকে উদ্বেগের। একই সঙ্গে দেশের একাধিক হিলস্টেশনে পর্যটকের ভিড় নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।
চিকিৎসক সিরিনের কথায় এখনও পর্যন্ত করোনাভাইরাসের ডেল্টা স্ট্রেইনটিকে সবথেকে সংক্রামক বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। কিন্তু ডেল্টা প্লাসও যথেষ্ট মারাত্মক। এই স্ট্রেইনে কতজন আক্রান্ত হয়েছে তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। তবে সবথেকে বেশি উদ্বেগের ল্যাম্বাদা। তিনি আরও বলেছেন দ্বিতীয় তরঙ্গে ডেল্টা প্লাসের আধিপত্য ছিল তুলনায় বেশি। দেশে সর্বাধিক সংক্রমণের পিছনে ডেল্টা প্লাসের হাত থাকলেও ল্যাম্বাদা নিয়েও খুব একটা স্বস্তিতে নেই চিকিৎসক ও গবেষকরা।
স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে, ল্যাম্বাডা স্ট্রেইন এখনও ভারতে পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্বব্যাপী পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হয়েছে বলেও জানান হয়েছে। অন্যদিকে এতদিন করে কাপা স্ট্রেইনে উত্তর প্রদেশের বেশ কয়েকজন আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান হয়েছে স্বাস্যমন্ত্রকের তরফ থেকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে ডেল্টা আর ডেল্টা প্লাস কনসার্নের ভেরিয়েন্ট হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। ল্যাম্বদা একটি ভিন্ন ধরনের রূপ।
তবে সব থেকে আশঙ্কার বিষয় হল সিমলা, মুসৌরির মত হিল স্টেশনগুলিতে প্রচুর মানুষের ভিড়। যেখানে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত প্রোটোকলগুলি মানা হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেছেন চিকিৎসকরা। স্থানীয় প্রশাসন আংশিক বিধিনিষেধের মাধ্যমে ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতে চাইছে। কিন্তু তা সবসময় সম্ভব হচ্ছে না। হিল স্টেশনে ভিড়ের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নজরেও পড়েছে। তিনিও বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। ডক্টর সিরিন বলছেন আগামী দিনে হিল স্টেশনগুলি একএকটি হটস্পটে পরিণত হতে পারে।