সিএএ-এনআরসি নিয়ে সারাদেশে বিক্ষোভ চলছে।
এরপরও কি বিজেপির আগের জনপ্রিয়তা রয়েছে?
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীই বা কতটা জনপ্রিয়?
কী বলছেন ভারতীয়রা?
নাগরিকত্ব (সংশোধনী) আইন এবং জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বিরুদ্ধে দেশজুড়ে অবিরাম বিক্ষোভ সত্ত্বেও ভারতীয় জনতা পার্টি-র নেতৃত্বাধীন সরকার এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জনপ্রিয়তায় বিশেষ হেরফের হয়নি। অন্তত আইএএনএস-সিভোটার'এর সমীক্ষায় বেশিরভাগ উত্তরদাতাই বলেছেন, তাঁরা ক্ষমতাসীন দল এবং প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি 'অত্যন্ত সন্তুষ্ট'।
রবিবার (২৬ জানুয়ারি) প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন আইএএনএস-সিভোটার' তাদের সাম্প্রতিক সমীক্ষা 'রাষ্ট্রের অবস্থা'-র ফলাফল প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যাচ্ছে এখনও উত্তরদাতাদের ৫৬.৪ শতাংশই বিজেপির প্রতি 'অত্যন্ত সন্তুষ্ট' বলে জানিয়েছেন আর প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রতি তো এখনও ৬২.৩ শতাংশ জনগণের সমর্থন রয়েছে। আর ৭০ শতাংশ মানুষ বলেছেন, সরাসরি ভোট দিতে পারলে তাঁরা নরেন্দ্র মোদীকে পুনর্নির্বাচিত করবেন।
এমনটা নয় যে ভারতের সব মানুষই এখনও বিজেপি এবং মোদীতে মজে রয়েছেন। ২৩.৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন বিজেপি সরকারের প্রতি তারা 'কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট' এবং আর ১৯.৮ শতাংশ মানুষ জানিয়েছেন তারা 'মোটেও সন্তুষ্ট নন'। মোদী সম্পর্কে 'কিছুটা হলেও সন্তুষ্ট' ২০.৯ শতাংশ ভারতীয়। আর মাত্র ১৬.৮ শতাংশ ভারতীয় জানিয়েছেন মোদীর প্রতি তাঁরা 'অসন্তুষ্ট'। অর্থাৎ একটা কথা বলাই যায়, এই সমীক্ষায় আরও একবার প্রমাণিত ব্যান্ড বিজেপিকে ছাপিয়ে গিয়েছে ব্যান্ড মোদী।
এনআরসি এবং সিএএ-র জন্য দেশে সাম্প্রতিক অস্থিরতা তৈরির জন্য বিরোধীরা সরাসরি অমিত শাহ-কে দায়ী করছেন। কিন্তু কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীও কিন্তু খারাপ নম্বর পাননি। ৫০.৭ শতাংশ উত্তরদাতারা বলেছেন অমিত থাহ-এর কাজে তারা 'অত্যন্ত সন্তুষ্ট'। ২৫.২ শতাংশ তারা 'মোটের উপর সন্তুষ্ট' আর ২৪.২ শতাংশ মানুষ বলেছেন তাঁরা 'মোটেও সন্তুষ্ট নন'। নিজের রাজ্য গুজরাত বাদে হিমাচল প্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, উত্তরপ্রদেশ এবং হরিয়ানা থেকেও ভালো নম্বর পেয়েছেন অমিত শাহ।
তবে এই সমীক্ষায় উঠে আসা সবচেয়ে মজার বিষয় হল, উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলি এখনও বিজেপির পক্ষেই রয়েছে। সিএএ বিরোধী হিংসাত্মক বিক্ষোভের শুরু হয়েছিল এই রাজ্যগুলিতেই। এমনকী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী পর্যন্ত পা দিতে ভরসা পাচ্ছেন না। সমীক্ষা রিপোর্ট বলছে সেই রাজ্যগুলির ৮২.১ শতাংশ জনগণ বিজেপির প্রতি 'অত্যন্ত সন্তুষ্ট'।