কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের নতুন প্রার্থী দিগ্বিজয় সিং, ত্রিকোন লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিল্লিতে

অশোক গেহলট এখন অতীত। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে নতুন পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এল ৭৫ বছর বসয়ী দিগ্বিজয় সিং-এর নাম। দিল্লি পৌঁছে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করলেই তিনি হাজির দিল্লিতে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র পেশ করবেন।

Saborni Mitra | Published : Sep 29, 2022 8:01 AM IST

অশোক গেহলট এখন অতীত। কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে নতুন পদপ্রার্থী হিসেবে উঠে এল ৭৫ বছর বসয়ী দিগ্বিজয় সিং-এর নাম। দিল্লি পৌঁছে সাংবাদিকদের উত্তরে তিনি সরাসরি জানিয়ে দিলেন, সভাপতি নির্বাচনের জন্য মনোনয়ন সংগ্রহ করলেই তিনি হাজির দিল্লিতে। আগামিকাল অর্থাৎ শুক্রবার তিনি তাঁর মনোনয়নপত্র পেশ করবেন। 


কংগ্রেস সূত্রের খবর শশী থারুরের সঙ্গেই তাঁর জোর টক্কর হবে।  আগামী ১৭ অক্টোবর কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন। শশী থারুর আগেই মনোনয়ন পেশ করেছেন। যাইহোক, এখনও পর্যন্ত সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে গিয়েছিলেন দিগ্বিজয় সিং। তিনি বলেছিলেন,  তিনি কারও অনুমতি নেননি। কারও সঙ্গে আলোচনা করেননি। এমনকি প্রার্থী হওয়ার জন্য কংগ্রেস হাইকম্যান্ডের সঙ্গেও দেখা করেননি। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর অশোক গেহলটের মতই তিনি গান্ধীদের ঘনিষ্ট। দীর্ঘ দিন ধরেই এই পরিবারের অনুগত। কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচন ত্রীমুখী লড়াই হবে কিনা তা জানতে চাইলে দিগ্বিজয় সিং স্পষ্ট করে বলেন আগামী ৮ অক্টোবর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন । এই প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য ৮ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। 

অন্যদিকে এদিনই রাজস্থানের কংগ্রেস নেতা অশোক গেহলট সনিয়া গান্ধীর সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি এসেছেন। আজ তাঁরও  মনোনয়ন দাখিল করার কথা। কিন্তু সেই বিষয়ে তিনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। কংগ্রেস সভাপতি হিসেবে গান্ধীদের প্রথম পছন্দই ছিলেন তিনি। কিন্তু রাজস্থান সংকটের কারণে গান্ধীদের বিরাগভাজন হন তিনি। 


অশোক গেহলট অনুগামী প্রায় ৯০ জন বিধায়ক দল ছাড়ার হুমকি দিয়েছেন। রবিবার তাঁরা রাজ্যের স্পিকার সিপি জোশীর সঙ্গে দেখা করেন। বিধায়কদের দলে ছিলেন ক্যাবিনেট মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল। প্রথমে তারা শান্তি ধারিওয়ালের বাড়িতে বৈঠক করেন। সেই বৈঠেকেই স্থির হয় অশোক গেহলট যদি কংগ্রেস সভাপতি হন আর শচীন পাইলটকে যদি পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচিত করা হয় তাহলে তারা তাঁকে সমর্থন করবে না। তারা গণইস্তফা দেবে বলেও জানিয়েছে। তারা আরও বলেছে, ২০২০ সালে শচীন পাইলট যখন বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিল তখনই ঠিক হয়েছিল ও প্রস্তাব পাশ হয়েছিল পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী গেহলট অনুগামী অর্থাৎ তাদের মধ্যে থেকেই নির্বাচন করা হবে। এখন যদি সেই প্রস্তাবের বিরোধীতা করা হয় তাহলে তারা কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করতে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।  ধারিওয়ালের বাড়িতে  সমস্ত পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করা হয়েছিল। 
 

Share this article
click me!