আজ হুন্ডাই পাকিস্তানের কাশ্মীর পোস্ট নিয়ে কথা বলতে বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চাং ইউ-ইয়ং। টুইট করে একথা জানিয়েছেন এস জয়শংকর।
'কাশ্মীর সংহতি দিবস'-কে (Kashmir Solidarity Day) সমর্থন জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) পোস্ট করা হয়েছিল একাধিক সংস্থার পাকিস্তানি (Hyundai Pakistan) শাখা থেকে। আর সেই তালিকার মধ্যে রয়েছে হুন্ডাই থেকে শুরু করে ফাস্ট-ফুড চেন পিৎজা হাট (Pizza Hut) ও কেএফসির (KFC) মতো সংস্থাও। এদিকে সেই পোস্টের পর থেকেই দেশে এই সংস্থাগুলিকে বয়কটের (Boycott) ডাক দেওয়া হয়। এর জেরে ভারতে তাদের ব্যবসার ক্ষতি হতে পারে এই আশঙ্কাতেই তড়িঘড়ি সংস্থাগুলির ভারতীয় (Hyundai India) শাখার তরফে ক্ষমা চাওয়া হয়। আর আজ হুন্ডাই পাকিস্তানের কাশ্মীর পোস্ট (Kashmir Post) নিয়ে কথা বলতে বিদেশমন্ত্রীকে ফোন করেছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চাং ইউ-ইয়ং (Foreign Minister Chung Eui-yong)। টুইট করে একথা জানিয়েছেন এস জয়শংকর (External Affaris Minister S Jaishankar)।
এস জয়শংকরের টুইট
আজ দুপুরের দিকে একটি টুইট করেন এস জয়শংকর। সেখানে তিনি লেখেন, "দক্ষিণ কোরিয়ার বিদেশমন্ত্রী চাং ইউ-ইয়ং আজ আমাকে ফোন করেছিলেন। দিপাক্ষিক-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে আমাদের মধ্যে। পাশাপাশি হুন্ডাই নিয়েও আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে।" আসলে গাড়ি কোম্পানি হুন্ডাই দক্ষিণ কোরিয়ার একটি সংস্থা। এই সংস্থার প্রধান অফিস রয়েছে সিউলে। তাই কাশ্মীর পোস্টের পর এই কোম্পানিকে নিয়ে ভারতের কি অবস্থান রয়েছে তা জানতেই সে দেশের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে যোগাযোগ করা হয়েছিল বলে মনে করছেন কূটনৈতিক মহলের একাংশ।
আরও পড়ুন- কেএফসি-র পর কাশ্মীর নিয়ে পোস্ট পিৎজা হাটের পাকিস্তানি শাখার, দেশে বয়কটের ডাক
কী পোস্ট করা হয়েছিল হুন্ডাই পাকিস্তানের তরফে
গত ৫ ফেব্রুয়ারি, হুন্ডাই পাকিস্তানের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলিতে তাদের 'স্বাধীনতা সংগ্রামে', 'কাশ্মীরি ভাইদের' প্রতি সংহতি জানাতে একটি পোস্ট শেয়ার করা হয়েছিল। লেখা হয়েছিল, "আসুন আমাদের কাশ্মীরি ভাইদের আত্মত্যাগকে স্মরণ। স্বাধীনতার জন্য এখনও তারা সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। এই লড়াইয়ে তাদের পাশে রয়েছি আমরা।" প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশে পাকিস্তানে ৫ ফেব্রুয়ারি 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' (Kashmir Solidarity Day) পালন করা হয়। ওই দিনই এই পোস্ট করেছিল তারা। কিন্তু, এর ফল ভুগতে হয়েছে, সংস্থার ভারতীয় শাখাকে। এই পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। ভারতে বয়কটের ডাক দেওয়া হয় হুন্ডাইকে। ততক্ষণে অবশ্য পাকিস্তানি শাখার তরফে সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, তার আগেই সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়। আর তার স্ক্রিনশট ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
ক্ষমা চেয়ে কড়া বিবৃতি জারি করেছিল হুন্ডাই
পরিস্থিতি বেগতিক দেখেই হুন্ডাই ভারতের তরফে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। বলা হয়, ভারতের জাতীয়তাকে সম্মান করার দৃঢ় নীতি রয়েছে তাদের। হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়াকে সংযুক্ত করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি 'অযাচিত'। ভারতের প্রতি হুন্ডাই ইন্ডিয়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং তারা যে পরিষেবা দিয়ে আসছে - এই ধরনের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট তাকে আঘাত করছে। এই ধরনের অসংবেদনশীল পোস্টের বিষয়ে তাদের শূন্য সহনশীলতার নীতি রয়েছে এবং তারা এই ধরনের যে কোনও দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র নিন্দা করে।