সংক্ষিপ্ত
পিৎজা হাট পাকিস্তানের ফেসবুক পেজে কাশ্মীরের সঙ্গে 'সংহতি' নিয়ে একটি পোস্ট আপলোড করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ওই পোস্ট করা হয়েছিল। লাল রঙের পাকিস্তানি পতাকা দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছিল।
'কাশ্মীর সংহতি দিবস' (Kashmir Solidarity Day) উপলক্ষ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Socila Media) একের পর এক কাশ্মীরি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সমর্থনে পোস্ট দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন সংস্থার পাকিস্তানি শাখাগুলির তরফে। আর তার প্রভাব পড়ছে ভারতে থাকা সেই সংস্থাগুলির শাখার উপরে। বন্ধ হওয়ার মুখে তাদের ব্যবসা। এই তালিকায় রয়েছে গাড়ি কোম্পানি হুন্ডাই (Hyundai), ফাস্ট-ফুড চেন কেএফসি (KFC)। আর এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে আরও একটি ফাস্ট-ফুড চেন পিৎজা হাটও (Pizza Hut)। আর তার জেরে দেশে বয়কটের (Boycott) মুখে পড়তে হয়েছে এই সংস্থাকেও।
কী পোস্ট করা হয়েছিল পিৎজা হাট পাকিস্তানের তরফে
পিৎজা হাট পাকিস্তানের (Pizza Hut Pakistan) ফেসবুক পেজে কাশ্মীরের (Kashmir) সঙ্গে 'সংহতি' নিয়ে একটি পোস্ট আপলোড করা হয়। ৫ ফেব্রুয়ারি ওই পোস্ট করা হয়েছিল। লাল রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডে আজাদ কাশ্মীরের (Azad Kashmir) পতাকা দেওয়া একটি ছবি পোস্ট করা হয়েছিল। আর তার উপরে লেখা, "আমরা তোমার পাশে রয়েছি! কাশ্মীর সংহতি দিবস"। আর সেই ছবির ক্যাপশনে লেখা ছিল, "কাশ্মীর সংহতি দিবসে কাশ্মীরি ভাই-বোনদের স্বাধীনতার জন্য সবাই তাঁদের পাশে দাঁড়ান।" প্রসঙ্গত, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলনের প্রতি সমর্থন প্রকাশে পাকিস্তানে ৫ ফেব্রুয়ারি 'কাশ্মীর সংহতি দিবস' (Kashmir Solidarity Day) পালন করা হয়। ওই দিনই এই পোস্ট করেছিল তারা।
আরও পড়ুন- কাশ্মীর নিয়ে পোস্ট পাকিস্তানি শাখার, দেশে বয়কটের ডাক, ক্ষমা চেয়ে বিবৃতি কেএফসি ভারতের
পিৎজা হাটকে বয়কটের ডাক দেশে
পিৎজা হাট পাকিস্তানের তরফে ওই পোস্ট করার পরই তা ভাইরাল হয়ে যায়। আর তার প্রভাব পড়ে পিৎজা হাট ভারতের উপর। তারপরই সেই পোস্ট সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, ততক্ষণে সেই পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। আর তার থেকে স্ক্রিনশট নিয়েছিলেন অনেকেই। পরে সেই স্ক্রিনশট শেয়ার করে পিৎজা হাটে বয়কটের ডাক দেওয়া হয়। এই পরিস্থিতিতে ভারতে সমস্যার মুখে পড়তে পারে পিৎজা হাটের ব্যবসা। যদিও সংস্থার ভারতীয় শাখার তরফে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।
দেশে সমালোচনার মুখে পড়ে ক্ষমায় চায় কেএফসি
একই ভাবে কেএফসির পাকিস্তানি শাখার তরফে ৫ ফেব্রুয়ারি কাশ্মীর সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে পোস্ট করা হয়েছিল। আর তার প্রভাব পড়ে ভারতে তাদের ব্যবসার উপর। তারপরই তড়িঘড়ি টুইট করে সমগ্র দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেওয়া হয় সংস্থার তরফে। টুইটারে তাদের তরফে লেখা হয়, "দেশের বাইরে কেএফসির কিছু সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে প্রকাশিত হওয়া পোস্টের জন্য আমরা গভীরভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমরা ভারতে সম্মান করি। এবং গর্বের সঙ্গে সব ভারতীয়কে সেবা করার জন্য আমরা আমাদের লক্ষ্যে অবিচল থাকব।"
ক্ষমা চেয়ে কড়া বিবৃতি জারি করেছিল হুন্ডাই
হুন্ডাইয়ের পাকিস্তানি শাখার তরফেও একই পোস্ট করা হয়েছিল। তারপরই হুন্ডাই ভারতের তরফে কড়া বিবৃতি দেওয়া হয়। বলা হয়, ভারতের জাতীয়তাকে সম্মান করার দৃঢ় নীতি রয়েছে তাদের। হুন্ডাই মোটর ইন্ডিয়াকে সংযুক্ত করা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টগুলি 'অযাচিত'। ভারতের প্রতি গুন্ডাই ইন্ডিয়ার যে প্রতিশ্রুতি রয়েছে এবং তারা যে পরিষেবা দিয়ে আসছে - এই ধরনের সোশ্য়াল মিডিয়া পোস্ট তাকে আঘাত করছে। এই ধরনের অসংবেদনশীল পোস্টের বিষয়ে তাদের শূন্য সহনশীলতার নীতি রয়েছে এবং তারা এই ধরনের যে কোনও দৃষ্টিভঙ্গির তীব্র নিন্দা করে।