
দাম্পত্য কহলের পাশাপাশি পারিবারিক হিংসার ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ্যে এল বেঙ্গালুরুতে। স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়াঝাটির সময়ই স্ত্রীর আঙুল কামড়ে দিল স্বামী। এখানেই শেষ নয়, সেই কাটা আঙুলই খেয়েও ফেলে অমানবিকতার পরিচয় দিল অভিযুক্ত। বৃহস্পতিবার এই ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ অভিযুক্ত স্বামীকে গ্রেফতার করেছে।
নির্যাতিতা মহিলা তার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন বেঙ্গালুরুর কোনানকুন্টে থানায়। তারপরই ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। পুলিশ জানিয়েছে গত ২৮ জুলাই এই ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত স্বামী বিজয়কুমারের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২৩ বছর আগে বিজয়কুমার বিয়ে করেছিল পুষ্পাকে।
স্ত্রীর অভিযোগ বিয়ের পর থেকেই স্বামী তাঁর তাঁর ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাত। নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে মহিলা তার একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বাড়ি থেকে চলে যায়। একা একাই থাকতে শুরু করে। গত ২৮ জুলাই হিজয়কুমার পুষ্পার বাড়িতে আসে। ঝগড়া ঝাটি শুরু করে। দুই পক্ষ একে অপরের ওপর দোষারোপ করেন। সেই সময়ই পুষ্পা তার বাম হাতের তর্জনি উঁচিয়ে স্বামীকে একাধিকবার সতর্ক করে। সেই সময়ই স্বামী তার আঙুলে কামড় বসায়। আঙুল কেটে যায়। তারপরই তা খেয়ে ফেলে বলেও অভিযোগ। নির্যাতিতা আরও জানিয়েছেন, তাঁর স্বামী একাধিকবার তাকে মেরে ফেলারও হুমকি দিয়েছিল। কিন্তু আঙুল হারিয়ে রীতিমত বিপন্ন হয়েই মহিলা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। তারপরই গ্রেফতার করা হয় অভিযুক্ত স্বামীকে।
সম্প্রতি ভারতে পারিবারিক হিংসার ছবি আবারও প্রকট হচ্ছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে প্রতি তিন জন মহিলার মধ্যে এক জন মহিলা গৃহস্থ হিংসার স্বীকার। অনেক সময় মহিলারা এগিয়ে এসে স্বামী বা পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতেও ভয় পান। তাই অনেক সময়ই নির্যাতিতা মহিলারা বিচার পান না। এই অবস্থায় তাদের ওপর অসহ্য শারীরিক ও মানসির নির্যাতন চলতেই থাকে। অনেক সময় মেয়ের বাড়ির আত্মীয়রাও মহিলাকে চুপ করে সহ্য করার পরামর্শ দেয় চক্ষুলজ্জার খাতিরে। কিন্তু তার ফল অধিকাংশ সময়ই খারাপ হয়।