জেলা প্রশাসন ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম থেকে কারফিউতে শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, পুরো ইম্ফল উপত্যকায় রাতের কারফিউ ছাড়াও দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
মণিপুর থেকে ফের হিংসার ঘটনার খবর মিলল। সর্বশেষ পাওয়া খবরে জানা গিয়েছে বিষ্ণুপুর জেলায় অশান্তির সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার কাংওয়াই এবং ফুগাচাও এলাকায় হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। বলা হচ্ছে, কিছু বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। সেনা ও আরএএফ সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ার গ্যাসের শেল ছোঁড়ে বলে প্রশাসনিক আধিকারিকরা জানিয়েছেন। বিক্ষোভ চলাকালীন ১৭ জন বিক্ষোভকারী আহত হয়।
ইম্ফলে কারফিউ
ইতিমধ্যে, জেলা প্রশাসন ইম্ফল পূর্ব এবং ইম্ফল পশ্চিম থেকে কারফিউতে শিথিলতা প্রত্যাহার করেছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসাবে, পুরো ইম্ফল উপত্যকায় রাতের কারফিউ ছাড়াও দিনের বেলায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সংসদে তোলপাড়
অন্যদিকে, মণিপুর হিংসা ইস্যুতে সংসদে বিরোধী দলগুলির হট্টগোল অব্যাহত রয়েছে। এমনকি বৃহস্পতিবার বিরোধী দলগুলো সংসদে হট্টগোল ও স্লোগান দেয়। হট্টগোলের জেরে সংসদের কার্যক্রম স্থগিত করতে হয়।
মণিপুর হাইকোর্টের গুরুত্বপূর্ণ আদেশ
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার ভোরে মণিপুর হাইকোর্ট একটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশ দিয়েছে। প্রস্তাবিত জমির বিষয়ে স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। হিংসায় নিহত কুকি সম্প্রদায়ের সদস্যদের দেহ এই জমিতে কবর দেওয়ার কথা ছিল। হাইকোর্ট বলেছে, এটি করা হলে ইতিমধ্যেই অস্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
এর আগে, মণিপুর হিংসা মামলার শুনানি করতে গিয়ে বড় নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। আদালত বলে যে হিংসার ঘটনার তদন্তের জন্য এটি একটি এসআইটি গঠন করবে, যেখানে একজন মহিলা বিচারককেও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। হিংসার শিকারদের আবেদনের শুনানি করতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন মণিপুর রাজ্যে সহানুভূতির স্পর্শের প্রয়োজন রয়েছে। রাজ্যে লাগামহীন হিংসা চলছে। এমতাবস্থায় আদালতের নিযুক্ত টিমের কাছে একটি বার্তা যাবে যে সুপ্রিম কোর্ট বিষয়টি নোট করেছে।
প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেছেন, কমিটি গঠনের দুটি উপায় রয়েছে। এখানে আমরা নিজেরাই কমিটি গঠন করছি। যার মধ্যে নারী বিচারক এবং ডোমেইন বিশেষজ্ঞদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হবে। নারী হোক বা পুরুষ হোক সেটা আলাদা বিষয়, তবে নারীদের থাকতে হবে, কারণ তারা ভিকটিমদের সাথে যোগাযোগ করবে। সিজেআই বলেছেন যে এসআইটি গঠন শুধুমাত্র রাজ্যে কী ঘটেছে তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করার প্রেক্ষাপটে নয়। বরং সেখানেও আমাদের জীবন পুনর্গঠন করা দরকার।
সরকারকে প্রশ্ন করে সিজেআই বলেছিলেন যে আমাদের জানতে হবে যে ছয় হাজারটি এফআইআর-এর মধ্যে কতটি শূন্য এফআইআর রয়েছে, কতজনকে বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে পাঠানো হয়েছে, কতজন যৌন হিংসা কান্ডে জড়িত এবং কতজন বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রয়েছে এবং এখনও ১৬৪-এর অধীনে রয়েছে। অনেক বিবৃতি রেকর্ড করা হয়েছে।