হিন্দিতে লেখা নোটিশ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ২৬ জুলাই ঝালাওয়ার জেলার মনোহর থানা এলাকার অন্তর্গত একটি পঞ্চায়েত সমিতির আফালগেদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক চা বিক্রেতাকে এমনই একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে।
ভোটমুখী রাজস্থানে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি শো-কজ নোটিশ। যে নোটিশ পাঠান হয়েছে এক চা বিক্রেতাকে। তাতে বলা হয়েছে 'মহিষের দুধ নিয়ে তৈরি থাকুন। কোনও কর্মী বা কর্তকর্তারা চাইলেই দ্রুত সেই চা সরবরাহ করবেন।' যদি এমনটা না হয় তাহলে দোকাল তুলে দেওয়া হবে বলেও হুমকি দেওয়া হয়েছে। রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলার আকলেরার এক চা বিক্রেতাকে এমনই আজব নোটিশ পাঠান হয়েছে। আর এই নোটিশ কিন্তু গেছে সরকারি অফিস থেকে। পঞ্চায়েত সমিতির অফিস থেকেই পাঠান হয়েছে এই আজব নোটিশ। যদিও পরবর্তীকালে পঞ্চায়েত সমিতির অফিস জানিয়েছে এমন কোনও নোটিশ পাঠান হয় নি।
হিন্দিতে লেখা এই নোটিশই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। গত ২৬ জুলাই ঝালাওয়ার জেলার মনোহর থানা এলাকার অন্তর্গত একটি পঞ্চায়েত সমিতির আফালগেদা গ্রাম পঞ্চায়েতের এক চা বিক্রেতাকে এমনই একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করেছে। নোটিশটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। তারপরই প্রশাসনিক এক অধিকর্তা আসরে নামেন , তিনি জানিয়ে দেন এমন কোনও নোটিশ জারি করা হয়নি। এটি একটি ভুয়ো নোটিশ। গ্রাম পঞ্চায়েতের অফিসের বাইরেই বীরচাঁদ লোধা নামে স্থানীয় এক বাসিন্দা চায়ের দোকান দিয়েছিল। শুধুমাত্র তাঁকে শো-কজ নোটিশ জারি করা হয়েছে। যেটা কিছুটা অবাক করার মত বিষয়ও।
আরও পড়ুনঃ
Parliament News:সাংসদদের আচরণে অসস্তুষ্ট স্পিকার, লোকসভাতেই এলেন না 'অভিমানী' ওম বিড়লা
হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় অ্যান্টার্কটিকায় তরমুজ চাষ ! তাক লাগালেন বিজ্ঞানীরা
চিঠিটি পাঠান হয়েছে ২৬ জুলাই। পঞ্চায়েত সমিতি মনোহরথানা অফিসের ঠিকানা থেকে পাছান হয়েছে। চিঠিতে প্রাপকের জায়গায় লেখা রয়েছে চা বিক্রেতা বীরচাঁদ লোধার নাম। চিঠির অনেক অনেকটা এমনই. 'উপরে উল্লিখিত নিবন্ধটি হল যে জনাব মোহন জি বি.সি. দ্বারা ডাকা হয়েছে, যার মধ্যে আপনি সন্তোষজনক উত্তর দেননি এবং একই সাথে আপনি মহিষের দুধ বের করে তারপর চা আনতে বলেছেন, যা আপনার চরম অবহেলা এবং অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। অতএব, আজ থেকে পঞ্চায়েত সমিতি অফিসে চা আনার আগে মহিষের দুধ বের করে রেডি করে রাখুন এবং আজকের পরে, কোনও কর্মচারী/কর্মকর্তার কাছ থেকে কল পেলে, অবিলম্বে চা পাওয়া নিশ্চিত করুন, অন্যথায় আপনার বাসনপত্র/ঠিকরা। সংগ্রহ করা হবে।' চিঠিতেই উল্লেখ করা হয়েছে শনিবার ও রবিবার ছুটি থাকবে।
তবে এই চিঠি নিয়ে তোলপাড় রাজস্থান। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসরে নেমেছেন ব্লক কো-অর্ডিনেটর জয় লঙ্কেশ । তিনি চিঠিটি ভাইরাল হওয়ার পরে ব্লক কর্তার কাছ থেকে এর ব্যাখ্যা চেয়েছেন। অন্যদিকে স্বচ্ছ বারত মিশনের ব্লক কো-অর্ডিনেটর মোহনলাল বলেছেন এই চিঠি ভুয়ো। তিনি আরও বলেছেন, পঞ্চায়েত সমিতির অফিসের কম্পিউটার থেকেই টাইপ করা হয়েছে। চিঠিটি নিছকই মজা করার জন্য পাঠান হয়েছিল। দুপুরে খাবারের সময় কর্মী ও কর্তারা বসে পঞ্চায়েত অফিসের বাইরে থাকা চা বিক্রেতার সঙ্গে মজা করছিলেন। মাঝেমধ্যেই তিনি দুপুরে চা দিতে দেরী করেন। তার জন্যই এই চিঠি মজা করে পাঠান হয়েছে। কিন্তু চিঠি পেয়ে বীরচাঁদের বীরত্ব যে গায়েব হয়ে গিয়েছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তিনিও বন্ধুদের ডেকে চিঠিটি দেখান। কেউ হয়তো মজা করার জন্যই ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে দিয়েছিল।