Nirbhay Cruise Missile - সফল দেশি ইঞ্জিন, তাও মাঝপথে পড়ে গেল ডিআইডিওর ক্ষেপণাস্ত্র

নির্ভয় ক্ষেপণাস্ত্রে ব্যবহার করা হয়েছে দেশি ক্রুজ ইঞ্জিন। এদিন ইঞ্জিনটির পরীক্ষা সফল হলেও, পুরো নম্বর পেল না ডিআরডিও।

Asianet News Bangla | Published : Aug 11, 2021 11:13 AM IST

বুধবার ওড়িশার বালাসোর জেলার উপকূলে চাঁদিপুর পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে এক হাজার কিলোমিটার পাল্লার নির্ভয় ক্রুজ মিসাইল-এর পরীক্ষায় আংশিক সাফল্য পেল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক সূত্র জানিয়েছে, এদিন সকাল ৯ টা বেজে ৫৫ মিনিটে ক্ষেপণাস্ত্রটিকে নিক্ষেপ করা হয়েছিল।  দেশিয় প্রযুক্তির ক্রুজ ইঞ্জিনের সহায়তায় ক্ষেপণাস্ত্রটি পরের ১৫ মিনিটে প্রায় ১৫০ কিলোমিটার উড়েছিল। কিন্তু, তারপর সাব-সোনিক ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রযুক্তিগত ত্রুটির কারণে নিচে পড়ে যায়। ডিআরডিও-র পক্ষ থেকে ই মিসাইলটি নিয়ে অদূর ভবিষ্যতে "আরও পরীক্ষা চালানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। 

২০২০ সালের অক্টোবরে প্রথম দেশিয় ক্রুজ ইঞ্জিনে চলা ১০০০ কিলোমিটার পাল্লার সাবসোনিক মিসাইল নির্ভয়-ের পরীক্ষা করা হয়েছিল। সেইবার আট মিনিট পর মিসাইলটি ফিরিয়ে নিতে হয়েছিল। ব্যর্থ হয়েছিল ডিআরডিও। বুধবার অবশ্য পরীক্ষায় আংশিক সাফল্য এসেছে বলে দাবি করা হয়েছে ডিআরডিও সূত্রে। তারা বলেছে, দেশীয় ইঞ্জিনটি এদিনের পরীক্ষায় সফল হয়েছে। তবে, ডেলিভারি প্ল্যাটফর্মটি কোনও অজ্ঞাত কারণে নিচে নেমে এসেছে। রাষ্ট্রায়ত্ব প্রতিরক্ষা সংস্থাটি মনে করছে এটা সম্ভবত কন্ট্রোলারের কোনও সমস্যার কারণে হয়েছে। তবে তারা জোর দিয়ে জানিয়েছে দেশিয় প্রযুক্তিতে তৈরি ইঞ্জিনটি ভালোভাবেই কাজ করেছে। তারা আরও জানিয়েছে, মিসাইলটির পরবর্তী পরীক্ষাটি হবে মিশন মোডে। আর তারপর বায়ুসেনা ও নৌবাহিনীর জন্য ব্যবহারকারীর পরীক্ষা করা হবে।

"

আরও পড়ুন - 'সোনার খনি' গ্রহাণু, পৃথিবীর সবাইকে করতে পারে কোটিপতি - এবার অভিযানে নামছে NASA

আরও পড়ুন - অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি লোকসভার কাজ, ঝোড়ো আবহাওয়াতেই শেষ হল বাদল অধিবেশন

আরও পড়ুন - OBC Reservation Bill - সংসদে পাস হল ঐতিহাসিক বিল, সমর্থন জানাল আরএসএস

নির্ভয় একটি সাবসোনিক ক্ষেপণাস্ত্র। এটি ০.৭ থেকে ০.৯ মাক গতিতে উড়তে পারে। সমুদ্র এবং ভূখণ্ডের একেবারে তল ঘেসে (৫০ মিটার থেকে চার কিলোমিটারের উচ্চতার মধ্যে উড়তে সক্ষম ) ওড়ার ক্ষমতার জন্য শত্রুপক্ষের রাডারও ই ক্ষেপণাস্ত্রকে সনাক্ত করতে পারবে না। এটি একটি দুই পর্যায়ের ক্ষেপণাস্ত্র। প্রথম পর্যায়ে কঠিন জ্বালানী ব্যবহার করে এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তরল জ্বালানীর ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়। সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোগ্রাম ওজনের ওয়ারহেড বহন করতে পারে মিসাইলটি। আর এর পাল্লা ১৫০০ কিলোমিটার, অর্থাৎ ১৫০০ কিলোমিটার দূর পর্যন্ত লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানতে পারে এটি। সেইসঙ্গে, ক্ষেপণাস্ত্রটির ডেলিভারি প্ল্যাটফর্ম উড়ান চলাকালীন উড়ানের দিক সংশোধন করে লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত করতে পারে। এটি সমুদ্র, স্থল এবং মোবাইল লঞ্চারের মাধ্যমে এটিকে নিক্ষেপ করা যায়।


 

Share this article
click me!