গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারতে তৈরি সর্দিকাশির সিরাপে হু-র নিষেধাজ্ঞা, তদন্ত শুরু করল কেন্দ্র

Published : Oct 06, 2022, 03:53 PM IST
গাম্বিয়ায় শিশুমৃত্যুর ঘটনায় ভারতে তৈরি সর্দিকাশির সিরাপে হু-র নিষেধাজ্ঞা, তদন্ত শুরু করল কেন্দ্র

সংক্ষিপ্ত

সরকারী সূত্র অনুসারে, CDSCO বিষয়টি গ্রহণ করেছে এবং WHO-র দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। হরিয়ানার সোনিপতে অবস্থিত মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের গাম্বিয়াতে তৈরি এবং রপ্তানি করা সর্দি কাশির সিরাপগুলির বিরুদ্ধে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। 

কিডনি বিকল হয়ে ৬৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে গাম্বিয়ায়। প্রাথমিক তদন্তের পর মনে করা হচ্ছে, ভারতের সোনিপতে অবস্থিত মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালসের তৈরি বিশেষ চারটি সর্দি কাশির সিরাপই পাঁচ বছরের কম বয়সি ওই সমস্ত শিশুদের কিডনি বিকল হওয়ার কারণ। ওই চারটি সিরাপ নিয়ে ইতিমধ্যেই একটি সতর্কবার্তা জারি করেছে হু। প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং নিয়ামক সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে তদন্তও শুরু করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন (CDSCO) একটি তদন্ত শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতে তৈরি চারটি সর্দি এবং কাশির সিরাপগুলির বিরুদ্ধে একটি সতর্কতা জারি করেছে। হু-র দাবি এই সিরাপগুলি কিডনিতে গুরুতর ক্ষতি করতে পার। 

সরকারী সূত্র অনুসারে, CDSCO বিষয়টি গ্রহণ করেছে এবং WHO-র দেওয়া তথ্য খতিয়ে দেখে তদন্ত শুরু করেছে। হরিয়ানার সোনিপতে অবস্থিত মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের গাম্বিয়াতে তৈরি এবং রপ্তানি করা সর্দি কাশির সিরাপগুলির বিরুদ্ধে বিশদ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। ভারত সরকার বলেছে, "সিডিএসসিও, ডব্লিউএইচও-কে উত্তর দেওয়ার সময়, দেড় ঘন্টার মধ্যে তদন্ত শুরু করে। এর পরে অবিলম্বে সংশ্লিষ্ট রাজ্য নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি গুরুত্ব তুলে ধরে। রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারে রয়েছে ওষুধ উত্পাদন ইউনিট। তাই রাজ্য ড্রাগস কন্ট্রোলারের সহযোগিতায় এই বিষয়ে তথ্য বা বিশদ বিবরণ নিশ্চিত করার জন্য একটি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।"

প্রাথমিক তদন্ত অনুসারে, এই ওষুধগুলি তৈরি করা হয়েছে মেইডেন ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড। এই সংস্থা জাতীয় ওষুধ নিয়ন্ত্রকের থেকে  লাইসেন্সপ্রাপ্ত। বিতর্কিত পণ্যগুলির জন্য উত্পাদন অনুমতি ছিল৷ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কোম্পানিটি শুধুমাত্র গাম্বিয়াতেই এসব পণ্য তৈরি ও রপ্তানি করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে আমদানিকারক দেশ এই পণ্যগুলিকে মানের প্যারামিটারের উপর পরীক্ষা করে এবং দেশে ব্যবহারের জন্য সেগুলি বাজারে ছাড়ার আগে পণ্যগুলির গুণমান সম্পর্কে সন্তুষ্ট হয়,"। 

WHO পরীক্ষার ফলাফল
সূত্র জানায়, ডব্লিউএইচওর প্রাপ্ত অস্থায়ী ফলাফল অনুযায়ী, পরীক্ষিত ২৩টি নমুনার মধ্যে চারটি নমুনায় ডায়াথাইলিন গ্লাইকোল বা ইথিলিন গ্লাইকল পাওয়া গেছে। ডাব্লুএইচও দ্বারা এটিও জানানো হয়েছে যে বিশ্লেষণের রিপোর্ট অদূর ভবিষ্যতে ডাব্লুএইচও-কে দেওয়া হবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সেই রিপোর্ট তুলে দেবে ভারতের হাতে।

আজ অবধি, প্রস্তুতকারী সংস্থাটি এই পণ্যগুলির সুরক্ষা এবং গুণমানের বিষয়ে কোনও গ্যারান্টি দেয়নি বলে WHO জানিয়েছে। চারটি পণ্যের নমুনার পরীক্ষাগার বিশ্লেষণ এটা নিশ্চিত করে যে, সিরাপগুলিতে ‘দূষক’ হিসাবে অগ্রহণযোগ্য পরিমাণে ডাইথাইলিন গ্লাইকোল এবং ইথিলিন গ্লাইকোল রয়েছে। 

PREV
click me!

Recommended Stories

8th Pay Commission: বড় খবর! ১ জানুয়ারি থেকে বাড়ছে না কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন? কতদিন পিছিয়ে গেল দিন
জেনে নিন আজ শহরে ডিজেল ও পেট্রোলের দাম কত