কেসিআর-এর দুর্গেও দাঁত ফোটালো বিজেপি, একটি জয়েই পাল্টে যেতে পারে রাজ্য-রাজনীতি

একটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনকে কেন্দ্র করেই শুরু হয়েছিল মর্যাদার লড়াই

তাতে শেষ পর্যন্ত জয় পেল বিজেপি

অক্ষত রইল না কেসিআর-এর দুর্গ

এবার কি তেলেঙ্গানাতেও ফুটবে পদ্ম

amartya lahiri | Published : Nov 10, 2020 12:23 PM IST / Updated: Nov 10 2020, 09:12 PM IST

একটি বিধানসভা আসনের উপনির্বাচনে জয়। কিন্তু, তাই গোটা তেলেঙ্গানা রাজ্যের রাজনীতি বদলে দিতে পারে বলে মনে করছে বিজেপি। তেলেঙ্গানার ডুব্বাক্কা বিধানসভা এতদিন পরিচিত ছিল তেলেঙ্গানার মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর-এর দুর্গ বলে। কিন্তু, মঙ্গলবার সেই দুর্গেই দাঁত ফোটালো বিজেপি। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতির প্রার্থী সলিপেতা সুজাতা-কে পরাজিত করলেন বিজেপি প্রার্থী মাধবনেনি রঘুনন্দন রাও।

মঙ্গলবার শুরুর থেকেই দুই প্রার্থীর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই চলছিল। মাঝে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছিলেন বিজেপি প্রার্থী। কিন্তু ২৩ দফা গণনার পর মাত্র ১১১৮ ভোটে জয় পায় বিজেপি। কিন্তু, এই জয়কেই রাজ্যসভার সাংসদ তথা বিজেপির সর্বভারতীয় মুখপাত্র রাজীব চন্দ্রশেখর বলেছেন 'টেকটনিক গেমচেঞ্জার জয়'। বিজেপি-র উপর আস্থা রাখার জন্য ডুব্বাক্কা ভোটারদের তিনি ধন্যবাদ দিয়েছেন। এই নির্বাচনের আগে রাজ্যের বিজেপি প্রেসিডেন্ট বান্দি সঞ্জয়-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপরেও বিজেপি জেতায় রাজীব বলেছেন, 'কেসিআর সরকারের সমস্ত নোংরা কৌশল সত্ত্বেও এই দুর্দান্ত রাজনৈতিক জয়ের জন্য কার্যকর্তাদের অভিনন্দন'।

তেলেঙ্গানার এই জয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-ও।

বিজেপির প্রার্থী মাধবনেনি রঘুনন্দন রাও ভোট পান ৬২,৭৭২টি। আর টিআরএস প্রার্থী সুজাতা পান ৬১,৩০২ টি ভোট। পাশাপাশি কংগ্রেসের চেরুকু শ্রীনিবাস রেড্ডি পেয়েছেন মাত্র ২১,৮১৯ টি ভোট।

আরও পড়ুন - Live Results Update- ধাক্কা সামলিয়ে এগিয়ে চলেছে এনডিএ, মহাজোট পেতে পারে ১০০ আসন

আরও পড়ুন - ২০৩০-এ বিহার হবে ইউরোপ, নীতিশ-তেজস্বীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এই লন্ডন ফেরত যুবতীও

আরও পড়ুন - ২০৩০-এ বিহার হবে ইউরোপ, নীতিশ-তেজস্বীর সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর দৌড়ে এই লন্ডন ফেরত যুবতীও

টিআরএস বিধায়ক রামলিঙ্গ রেড্ডির মৃত্যুর কারণেই ডুব্বাকা বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হয়। এই বিধানসভা আসনের চারপাশে রয়েছে যথাক্রমে মুখ্যমন্ত্রী কেসিআর, তাঁর পুত্র এবং রাজ্যের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী কেটিআর এবং মুখ্যমন্ত্রীর ভাগ্নে হরিশ রাও-এর নির্বাচনী কেন্দ্র। তাই এই শক্ত ঘাঁটির লড়াই টিআরএস-এর কাছে সম্মানরক্ষার লড়াই ছিল। শেষ পর্যন্ত বাজিমাত করল বিজেপিই।

 

Share this article
click me!