কয়েক মাসেই ভোজ্যতেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় রীতিমত মাথায় হাত পড়েছিল ক্রেতাদের। এই অবস্থায় অনেকেই তেল কেনার পরিমাণ কমিয়েছিলেন।
উৎসবের মরশুমেই এই সুখবর (Good News)। কারণ কিছুটা হলেও কমতে শুরু করেছে গৃহস্থের হেঁশেলের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী হিসেবে অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ ভোজ্য তেলের (Edible oil) দাম। সলভেন্ট অ্যান্ড এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া (SEA) সভাপতি অতুল চতুর্বদীর জানিয়েছেন ভোজ্য তেলের দাম (Price) কমতে শুরু করেছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে ভোজ্যতেলের দাম কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা করে কমানো হয়েছে। দেশেই প্রচুর পরিমাণে ভোজ্যতেল উৎপাদন হচ্ছে বলে দাম কমছে ভোজ্য তেলের। সম্প্রতি পেট্রোল ডিজেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চড়ছিল ভোজ্য়তেলের দাম। পিছিয়ে ছিল না পাম, রাইস, সয়াবিন, সরর্ষের তেল- কেউ পিছিয়ে ছিল না। তবে উৎসবের ভোজ্যতেলের দাম কমার আশ্বাস পেয়েছে স্বস্তির নিঃস্বাস ফেলেছে মধ্যবিত্ত।
গত কয়েক মাসেই ভোজ্যতেলের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায় রীতিমত মাথায় হাত পড়েছিল ক্রেতাদের। এই অবস্থায় অনেকেই তেল কেনার পরিমাণ কমিয়েছিলেন। তাদের জন্যই সুখবর, এবার কমতে চলেছে ভোজ্য তেলের দাম।
Pakistan: কাশ্মীরিদের উন্নয়নে কি ক্ষুব্ধ পাকিস্তান, শ্রীনগর-শারজা বিমানের জন্য বন্ধ করল এয়ারস্পেশ
Monoclonal Therapy: কোভিড চিকিৎসায় 'ম্যাজিক' মনোক্লোনাল থেরাপি, ডেল্টা রুখতে কার্যকর
তেলের দাম বাড়ার কারণ হল- চাহিদা বেশি থাকায় ভারত মূলত ভোজ্যতেলের আমদানির ওপরেই নির্ভর করত। ব্রাজিল আর আর্জেন্টিনা থেকে আমদানি করা হত ভোজ্যতেল। কিন্তু দুটি দেশেই ভোজ্যতেলের উৎপাদন কমে গেছে। অন্যদিকে মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়াতেই পাল তেলের উৎপাদন কমে যাওয়ায় রীতিমত প্রভাব পড়তে শুরু করেছে ভারতীয় বাজারে। এই অবস্থায় আমদানি কমে যাওয়ায় ভারতের বাজারে তেলেন দাম আকাশ ছুঁয়েছে। পাশাপাশি তেম আমদানির জন্য জাহাজেরও ঘাটতিও দাম আরও বাড়াতে সাহায্য করেছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে ফেব্রুয়ারি থেকে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেইপথে হেঁটে ভোজ্যতেলের আমদানি শুল্কও সম্পূর্ণরূপে মকুব করেছে কেন্দ্রীয় সরকার।
Patna Blast: মোদীর জনসভার আগে বিস্ফোরণ, ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা NIA আদালতের
সলভেন্ট অ্যান্ড এক্সট্র্যাক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়া জারি করা একটি বিবৃতিতে বলা হয়েছে, মেসার্স আদানি উইলমার লিমিটেজ, রুচি সোয়া ইন্ডাস্ট্র্রিজ লিমিটেড, মেসার্স এডিবললস অ্যান্ড ফ্যাটস ইন্ডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড, মেসার্স মোদী ন্যাচারালস লিমিটেডসহ বেশ একাধিক সংস্থা টিন প্রতি ভোজ্য তেলের দাম ৪ হাজার থেকে ৭ হাজার পাইকারি জাম কমিয়েছে। অন্য সংস্থাগুলিও তেলের দাম কমাতে একই পথ অনুসরণ করছে। এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন সয়াবিন আর চিনাবাদামের বাম্পার উৎপদন হয়েছে। আগামী দিনেই উৎপাদন আরও বাড়বে বলেও আশাবাদী তাঁরা। চলতি বছর সরিষার উৎপাদনও স্বাভাবিকের তুলনায় ২৫-৩০ শতাংশ বেশি হবে বলেও আশা করা হচ্ছে। তাই আগামী দিনে তেলের দাম আরও কমবে বলেও আশা করা হচ্ছে।