৫৮ বছরের একনাথ শিন্ডে জীবন শুরু খরেন অটোচালক হিসেবে। কিন্তু এখন রাজনীতির মারপ্যাঁচের জেরে তাঁরই হাতে থাকবে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং।
সব জল্পনার অবসান। মহারাষ্ট্রের মসনদে বসতে চলেছেন একনাথ শিন্ডে। দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন একনাথ শিন্ডের কাছে তিনি কৃতজ্ঞ। শিন্ডের মন্ত্রিসভাতেও তিনি থাকছেন না বলে জানিয়েছেন। মহারাষ্ট্রের মসনদ নিয়ে দীর্ঘ দড়ি টানাটানির পর বৃহস্পতিবারই শিন্ডে মুম্বই ফিরেছেন। রাজ্যের বিধানপরিষদের নির্বাচনে ভোট কাটাকাটির পরই তিনি মহারাষ্ট্র ছাড়েন। প্রথমে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিজেপি শাসিত গুজরাতে। পরে সেখান থেকে তাঁর অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে চলে যায় বিজেপি শাসিত আকের রাজ্য অসমে। শিন্ডের সঙ্গে ৫০ শিবসেনা বিধায়কের সমর্থন রয়েছে বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি তাঁর দাবি তিনি ও তাঁর অনুগামীরাই আসল শিবসেনা ও বালাসাহেব ঠাকরের আসল উত্তরসুরী।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছেন এই আশঙ্কায় আগেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বালাসাহেব ঠাকরের ছেলে উদ্ধব ঠাকরের। তিনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। যাইহোক বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ একনাথ শিন্ডে শপথ গ্রহণ করবেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে। এদিনই তিনি দেখা করেছেন রাজ্যপালের সঙ্গে। এদিন শুধুমাত্র শিন্ডেই শপথ গ্রহণ করবেন। মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ জানিয়েছেন শুধুমাত্র হিন্দুত্বের জন্যই তাঁরা শিন্ডেকে সমর্থন করছেন।
৫৮ বছরের একনাথ শিন্ডে জীবন শুরু খরেন অটোচালক হিসেবে। কিন্তু এখন রাজনীতির মারপ্যাঁচের জেরে তাঁরই হাতে থাকবে মহারাষ্ট্র সরকারের স্টিয়ারিং। অথচ উদ্ধব ঠাকরের বাবা বালাসাহেব ঠাকরেই ছিলেন একনাথ শিন্ডের রাজনৈতিক গুরু। একনাথ শিন্ডে মহারাষ্ট্রের সাতারার বাসিন্দা। ছাত্র রাজনীতিতেই হাত পাকিয়েছিলেন তিনি। আদর্শ ছিল বালাসাহেব ঠাকরে। রাজনীতি করার জন্য তিনি সাতারা ছেড়ে চলে আসেন শিবসেনার মূল ঘাঁটি ঠানেতে। যদিও উদ্ধব ঠাকরের ঘুম ছুটিয়ে দিয়ে একনাথ শিন্ডে জানিয়েছেন তিনি এখনও বিজেপির সঙ্গে সরাসরি হাত মেলাননি। বালাসাহেবের আদর্শই তাঁর আদর্শ। তিনি বলেছেন বালাসাহেবের থেকে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি শেখা উচিৎ। তিনি আরও বলেছেন হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির সঙ্গে তিনি কখনই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারবেন না।
মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে নির্বাচন কমিশনের কাছে দাখিল করা স্ব-ঘোষিত হলফনামায় শিন্ডে জানিয়েছেন তাঁর মোট সম্পত্তির পরিমান প্রায় ২০ লক্ষ পাঁচ হাজার টাকা। যদিও বেশ কয়েকটি নিউজ পোর্টালে তাঁর সম্পত্তির পরিমাণ দেওয়া হয়েছে দেড় মিলিয়ন বা এক কোটি টাকারও বেশি।