প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে এই কাহিনি বলার সঙ্গে সঙ্গে ভদ্রলোক তাঁর ছোট্ট মেয়ের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন। জানান, মেয়ের ইচ্ছে ডাক্তার হবে।
গুজরাটে সরকারি প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের জন্য একটি অনলাইন অনুষ্ঠানে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একজন ব্যক্তির সমস্যার কথা শুনে প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন কারণ এক দৃষ্টিহীন ব্যক্তি তার মেয়ের ডাক্তার হওয়ার স্বপ্নের কথা বলেছিলেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত মেয়েটিও কাঁদতে থাকে।
প্রধানমন্ত্রী মোদি ইয়াকুব প্যাটেল নামে পরিচিত ওই ব্যক্তিকে তার মেয়ের স্বপ্ন বাস্তবায়নে সাহায্য করার প্রস্তাব দিয়েছেন। তিনি বলেন, আপনার মেয়েদের স্বপ্ন পূরণে কোনো সাহায্যের প্রয়োজন হলে আমাকে জানান।
উৎকর্ষ সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সেখানে এক ব্যক্তি জানা তাঁর মেয়ে ডাক্তার হতে চায়। এই ব্যক্তির চোখের দৃষ্টি প্রায় চলে গিয়েছে। প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে জীবনযুদ্ধের লড়াই করছেন। এই ব্যক্তির এক মেয়ে ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখে । প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানান সেই স্বপ্নের কথা। মেয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পরিচয়ও করিয়ে দেন। এই দুঃস্থ পরিবারের লড়াই-এর কাহিনি বিমূঢ় করে মোদীকে। কিছুক্ষণের জন্য কথা হারিয়ে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। পরে কথা বলতে গিয়ে কান্নায় গলা বুজে আসে প্রধানমন্ত্রীর। কোনওমতে নিজেকে সামলে নিয়ে সাহায্যের আশ্বাস দেন মোদী।
কী ঘটেছিল ওই পরিবারের সঙ্গে?
প্রধানমন্ত্রী মোদী ভার্চুয়ালি সমাবেশে যোগ দেওয়া মানুষ জনের সঙ্গে আলাপচারিতা করছিলেন। এমন সময়ে উঠে দাঁড়ালেন এক ভদ্রলোক। জানালেন সৌদি আরবে কাজ করতে গিয়ে চোখে সমস্যা হচ্ছিল। এক চিকিৎসকের পরামর্শে আইড্রপ ব্যবহার করেন। কিন্তু, সমস্যা কমে তো নি, উল্টে চোখের দৃষ্টি প্রায় চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। দেশে ফিরে এসে ফের চিকিৎসক দেখিয়ে জানতে পারেন যে গ্লুকমা হয়েছে। আজ অনেক লড়াইয়ের মধ্যে দিয়ে প্রায় না দেখতে পাওয়া চোখের দৃষ্টি নিয়ে দুই মেয়ে, স্ত্রীকে নিয়ে জীবনযুদ্ধের লড়াই করছেন।
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সামনে এই কাহিনি বলার সঙ্গে সঙ্গে ভদ্রলোক তাঁর ছোট্ট মেয়ের সঙ্গেও প্রধানমন্ত্রীর পরিচয় করিয়ে দেন। জানান, মেয়ের ইচ্ছে ডাক্তার হবে। এক প্রবল প্রতিকূল পরিস্থিতির মধ্যে এমন স্বপ্ন যে বাস্তবায়িত করাটা কতটা কঠিন তা বুঝতে পেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। এমন এক অসম লড়াইয়ের কাহিনি কিছুক্ষণের জন্য তাঁকে বাকরুদ্ধ করে দেয়। আবেগ মথিত হয়ে গলা বুঝে আসে তাঁর। কান্নাভেজা কণ্ঠেই বলেন, মেয়েদের ইচ্ছে পূরণ করতে হবে। আর কোনও সাহায্য লাগলে তাঁকে যেন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সর্বোতভাবে সাহায্য করা হবে।