রাজৌরিতে গত ২ দিন ধরে সেনা-জঙ্গি এনকাউন্টার, এখনও পর্যন্ত ৫ বীর জওয়ান শহিদ

সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে ম্যাঙ্গালোরের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল, আগ্রার ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তা, পুঞ্চের হাবিলদার আব্দুল মজিদ, নৈনিতালের ল্যান্স নায়েক সঞ্জয় বিস্ত এবং আলিগড়ের প্যারাট্রুপার শচীন লাউর এই এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছেন।

Parna Sengupta | Published : Nov 23, 2023 2:32 PM IST

জম্মু ও কাশ্মীরের রাজৌরিতে ২ দিন ধরে ভারতীয় সেনা ও জঙ্গিদের মধ্যে এনকাউন্টার চলছে। এই এনকাউন্টারে, দুই জঙ্গি নিহত হয়েছে, তবে পাঁচ সেনা জওয়ানও শহিদ হয়েছেন। শহিদদের মধ্যে দুই ক্যাপ্টেন ও তিন সেনা সদস্য রয়েছেন। এখন সেনাবাহিনী এই অমর শহিদদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য দিয়েছে। এরপর পাঁচটি পরিবারেই নেমে আসে শোকের কালো ছায়া। সেনাবাহিনী জানিয়েছে যে ম্যাঙ্গালোরের ক্যাপ্টেন এমভি প্রাঞ্জল, আগ্রার ক্যাপ্টেন শুভম গুপ্তা, পুঞ্চের হাবিলদার আব্দুল মজিদ, নৈনিতালের ল্যান্স নায়েক সঞ্জয় বিস্ত এবং আলিগড়ের প্যারাট্রুপার শচীন লাউর এই এনকাউন্টারে শহিদ হয়েছেন।

এই এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিও খতম হয়েছে

এই এনকাউন্টারে দুই জঙ্গিকেও খতম করেছে সেনা জওয়ানরা। এই বিষয়ে, সেনাবাহিনী বলেছে যে একজন জঙ্গি ছিল লস্কর-ই-তৈবার উচ্চ পর্যায়ের কমান্ডার, সে একজন পাকিস্তানি নাগরিক। অন্যজনকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। এনকাউন্টারে নিহত জঙ্গির নাম কোয়ারি। এই জঙ্গি পাকিস্তানের নাগরিক ছিল। একে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের সামনে যথাযথ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। নিহত জঙ্গি লস্কর-ই-তৈবা সংগঠনের একজন উচ্চপদস্থ জঙ্গি নেতা ছিল। গত বছর থেকে, সে রাজৌরি-পুঞ্চ এলাকায় তার গ্রুপের সাথে সক্রিয় ছিল। তাকে ডাংরি ও কান্দি হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হিসেবেও বিবেচনা করা হয়।

রাজৌরি জেলার ধর্মশালের বাজিমাল এলাকায় এই এনকাউন্টার চলছে

এই এনকাউন্টারটি হচ্ছে রাজৌরি জেলার ধর্মশালের বাজিমাল এলাকায়। সংঘর্ষের আগে রবিবার থেকে অভিযান চালানো হচ্ছে। সেনাবাহিনী ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে খবর পেয়েছিল, তারপরে তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ওই এলাকায় সক্রিয় জঙ্গিদের ধরতে রবিবার থেকে কর্ডন ও তল্লাশি অভিযান চলছে। তথ্য অনুযায়ী, জঙ্গলে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিদের কাছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ থাকতে পারে। সেনাবাহিনী ও পুলিশের দল জঙ্গিদের চারদিক থেকে ঘিরে রেখেছে এবং অভিযান চলছে। নিরাপত্তা বাহিনীর এই তল্লাশি অভিযানে লাইট, নাইট ভিশন ক্যামেরা ও ড্রোনের সাহায্য নেওয়া হচ্ছে। থেমে থেমে গোলাগুলিও হচ্ছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।

Share this article
click me!