বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ্যে! রাজ্যের ১২-১৩ জেলায় হু হু করে কমছে হিন্দুর সংখ্যা, সংখ্যালঘু হওয়ার আশঙ্কা
বড়সড় আশঙ্কার কথা সামনে এল। উদ্বেগ বাড়িয়ে রাজ্য সরকার জানাল রাজ্যের ১২ থেকে ১৩টি জেলায় উল্লেখযোগ্য ভাবে কমছে হিন্দুর সংখ্যা। এরই সঙ্গে বাড়ছে মুসলিমদের সংখ্যা। ফলে হিন্দু এই সব জেলায় সংখ্যালঘু হয়ে পড়তে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।
Parna Sengupta | Published : Aug 15, 2024 5:16 PM IST / Updated: Aug 16 2024, 09:29 AM IST
উদ্বেগের কথা শোনাল রাজ্য সরকার। রাজ্যের উদ্বেগ জনবিন্যাস যেভাবে বদলে যাচ্ছে, বিশেষ করে হিন্দু আর মুসলিমের মধ্যে জনবিন্যাস যেভাবে বদলে যাচ্ছে তা ভবিষত্যের জন্য খারাপ খবর নিয়ে আসতে পারে।
স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই জনবিন্যাস বদলে যাওয়ার তথ্য তুলে ধরেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
জানা গিয়েছে বর্তমানে মুসলিম জনসংখ্যা ৪১ শতাংশ। আর হিন্দু জনসংখ্যা ৫৭ শতাংশ। যা আগের থেকে ক্রমশ কমছে। যারা আদিবাসী তারা ক্রমেই আতঙ্কের মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন।
রাজ্য সরকার জানাচ্ছে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত নয়। হিন্দু-মুসলিম জনসংখ্য়ার বিন্যাস দ্রুত বদলে যাচ্ছে। মুসলিম জনসংখ্যা ২০২১ সালে হয়েছে ৪১ শতাংশ আর হিন্দুর সংখ্যা কমে গিয়ে হয়েছে ৫৭ শতাংশ। বাকিটা খ্রীষ্টান আর অন্যান্যদের সংখ্য়া।
এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা। তিনি জানিয়েছেন, অসমে হিন্দুর সংখ্যা ক্রমশ কমছে। ৬০-৬৫ শতাংশ থেকে কমে গিয়ে হয়ে গিয়েছে ৫০ শতাংশ।
তিনি সকলকেই পরিবার পরিকল্পনা মেনে চলার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন একটা সংকটজনক পর্ব চলছে। আমি চাইছি যাতে জনসংখ্যার বিন্যাসটা ঠিকঠাক থাকে।
তিনি বলেন, আমি সমস্ত হিন্দু, মুসলিম ও সকলকে বলছি পরিবার পরিকল্পনার নিয়মগুলো মেনে চলুন। তিনি জানিয়েছেন অসমের ১২-১৩ টি জেলায় হিন্দুরা সংখ্য়ালঘু হয়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, ১২-১৩টা জেলায় আমরা ক্রমে সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছেন। যদি শক্তিশালী সরকার না থাকে তবে আদিবাসীরা চিরদিন আতঙ্কে ভুগবে। আমি সূর্যের আলো নই, একটা মোমবাতির মতো আশা জাগাতে পারি দেশীর মানুষদের পাশে থাকার ব্যাপারে। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত এটা করে যাব।
এর আগেও এনিয়ে বার বার উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন অসমের মুখ্য়মন্ত্রী। এর আগে অসমের মুখ্য়মন্ত্রী লাভ জেহাদ নিয়েও মুখ খুলেছিলেন। কোনও একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের জন্য 'লাভ জিহাদ' বিরোধী বিল আনা হবে না। সকল ধর্মের ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি।
অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা উদাহরণ হিসেবে জানান, কোনও হিন্দু ছেলে যদি কোনও হিন্দু মেয়েকে ফাঁসিয়ে বিয়ে করে, তাও প্রস্তাবিত 'লাভ জিহাদ' আইনের আওতায় পড়বে।