সপ্তাহ খানেকও কাটেনি। ফণী-র ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতেই ফের সৃষ্টি হল ঘূর্ণাবর্ত। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যেই স্থলভাগে আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। এূবারের ঝড়ের নাম মহাসেন। আর সবতকিছু হিসাবমতো চললে শুক্রবারই উত্তরপূর্ব ভারতে প্রবেশ করবে এই ঘূর্ণাবর্ত। মেঘালয় ও অসমের উপর দিয়ে ফণীর মতোই শক্তি নিয়ে বয়ে যাবে এই ঝড়। আবহাওয়া দপতর এমনই পূর্বাভাস দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার সারাদিন ধরেই এরকমই এক পোস্ট দ্রুত ছড়াচ্ছিল সোশ্যাল মিডিয়ায়। তড়িঘড়ি মানুষের মধ্যে শুরু হয়ে যায় এই সংক্রান্ত বিভিন্ন তথ্যাদির আদান-প্রদান। সম্ভাব্য ঝড় নিয়ে নানাবিধ জল্পনার মধ্যে উড়ে আসে ঝড় সংক্রান্ত বিস্তারিত বিভিন্ন তথ্যও।
বলা হয়, ঘূর্ণাবর্তের জেড়ে মেঘালয়, অসম, মণিপুর, মিজোরামে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। সঙ্গে থাকবে প্রবল ঝোড়ো হাওয়া। তারপর ঘূর্ণাবর্তটি দক্ষিণে সরে এসে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিক থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করবে। এই রাজ্যের শিলিগুড়ি ও তৎসংলগ্ন এলাকাসহ সিকিমেও এর প্রভাব পড়বে। ১৮ই মে পর্যন্ত এই দূর্যোগ থাকবে।
এত অনুপুঙ্খ বিবরণের ফলে অনেকেই বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুতিব দিয়ে সাবধানতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু করেছিবলেন। সপ্তাহখানেক আগেই ফণী কীভাবে লণ্ডভণ্ড করে দিয়েছিল ওড়িশার মন্দির শহর পুরী-সহ এক বিরাট অংশ তাতে কেউই মহাসেন নিয়ে ঝুঁকি নিতে চাননি। বলা যেতে পারে দিনভর সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ণ সৃষ্টি করে মহাসেনের নকল তথ্য।
দিনের শেষে অবশ্য নয়াদিল্লির মৌসম ভবন থেকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে উত্তর পূর্ভ ভারতে এই মুহূর্তে কোনও ঘূর্নাবর্তের সম্ভাবনা নেই। মহাসেন নামে ষে ঝড়ের খবর রটেছে তা পুরোটাই ভুয়ো। কারা, কী উদ্দেশ্যে এই গুজব রটালো তা এখনও স্পষ্ট নয়।