সাধারণতন্ত্র দিবসের পর থেকে আন্দোলনকারী কৃষকদের জন্য ধীরে ধীরে কঠোর পদক্ষেপই গ্রহণ করছে দিল্লি পুলিশ। জাতীয় রাজধানীর নিরাপত্তা বাড়াতে আরও দুর্ভেদ্য করা হল ব্যারিকেড। রাতারাতি তৈরি হয়েছে কংক্রিটের দেওয়াল। রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সারি সারি পেরেক। একাধিক ব্যারিকেড দিয়ে কৃষকদের পথ আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে। দিল্লির সিংহু, টিকরি আর গাজিপুরে বর্ডারে মাল্টি লেয়ার ব্যারিকেড তৈরি হয়েছে। তিনটি সীমানাই প্রায় দুর্গের আকার নিয়েছে। সোমবার দিল্লির পুলিশ কমিশনার এসএন শ্রীবাস্ত গাজিপুর সীমান্ত পরিদর্শন করেন। গোটা নিরাপত্তা ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন। দায়িত্ব প্রাপ্ত পুলিশ কর্মীদের সঙ্গে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে পর্যালোচনা করেন। একই সঙ্গে তিনি পুলিশ কর্মীদের কঠোর পরিশ্রমের প্রশংসা করেছেন।
সিংহু সীমানার একটি অংশ, যেখানে ৬০ দিনেরও বেশি সময় ধরে বিক্ষোভ অবস্থানে রয়েছেন কৃষকরা সেই এলাকা খালি করার দাবিতে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সম্প্রতী স্থানীয়দের সঙ্গে কৃষকদের সংঘর্ষও বেধেছিল। আর তাই নিরাপত্তাজনিত কারণে আরও কঠোর হচ্ছে দিল্লি প্রশাসন। দিল্লি পুলিশের চরম এই সুরক্ষা ব্যবস্থান ভিস্যুয়াল ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। অনেক সময় আন্তর্জাতিক সীমান্তে এজাতীয় কঠোর সুরক্ষা ব্যবস্থার ছবি দেখতে পাওয়া যায়। সিংহু, গাজিপুর ও টিকরি সীমান্তে আগামিকাল পর্যন্ত ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
আজকের বাজেট ভারতের আস্থা আর আত্মবিশ্বাসের, প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রশংসা বার্তা ...
করোনা ঝড়ের সঙ্গে লড়াইয়ে এসেছে সাফল্য, এবার জোর পরিবর্তন আর আর্থিন উন্নয়নে ...
সিংহু বর্ডারের নিরাপত্তা
সোমবার রাস্তার একটি প্রান্তে দুটি সিমেন্টের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে। সেই দেওয়ার লোহার রডও দেওয়া হয়েছে। হাইওয়ের অস্থায়ী প্রাচিরের পাশাপাশি হাইওয়ে থেকে কিছুটা দূরে একটি অভ্যন্তরীন রাস্তা পেরিয়ে একটি ছোট্ট খাল তৈরি করা হয়েছে। তারও উভয় পাসে ব্যারিকেড তৈরি করা হয়েছে।
গাজিপুর বর্ডারের নিরাপত্তা
প্রায় একই রকম কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে গাজিপুরে। পুলিশের পাশাপাশি ব়্যাফ ও পিএসি মোতায়েন করা হয়েছে। প্রায় একশো নিরাপত্তা রক্ষী রয়েছে ঘটনাস্থলে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের জন্য ড্রোনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যানবাহন পরীক্ষা করা হচ্ছে। পথচারীদের জন্য কাঁটাতারের দেওয়াল তৈরি করা হয়েছে।
টিকরি বর্ডারের নিরাপত্তা
কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা রয়েছে টিকরিতে। সেখানে ব্যারিকেড দেওয়া হয়েছে। রাস্তায় বিছিয়ে দেওয়া হয়েছে বড় বড় পেরক। যাতে আন্দোলনকারী কৃষকরা কোনওভাবেই দিল্লিতে প্রবেশ করতে না পারে। সিমেন্টের বিশাল বিশাল ব্লকও ব্যবহার করে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়েছে।