এবার আমাদের কথা শুনুন, এই আর্জি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর 'মন কি বাত'এর বিরুদ্ধেই থালা বাজিয়ে প্রদর্শন

  • দিল্লির কৃষক আন্দোলোন ৩২ দিনে পড়ল 
  • থালা বাজিয়ে প্রদর্শন কৃষকদের 
  • মন কি বাত অনুষ্ঠানের সময় প্রদর্শন 
  • আগামী কর্মসূচি ঘোষণা কৃষকদের 
     

Asianet News Bangla | Published : Dec 27, 2020 11:11 AM IST

লকডাউনের প্রথম দিনে দেশের করোনা যোদ্ধাদের কথা স্মরণ করে থালা বাজানোর আবেদন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এবার তাঁর সেই আবেদনকেই তাঁরই বিরুদ্ধে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করলেন আন্দোনকারী কৃষকরা। দিল্লির উপকণ্ঠে চলা কৃষক আন্দোলন ৩২ দিনে পড়ল। এখনও নিজেদের দাবিতে অনড় রয়েছেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী রবিবার  আন্দোলনকারী অন্নদাতারা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মন কি বাত অনুষ্ঠানে বিরোধিতা করেন। তাঁরা থালা বাজিয়ে প্রদর্শন করেন।

আগেই থেকে এই কর্মসূচিরের কথা ঘোষণা করেছিলেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। সেই মত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যতক্ষণ মন কি বাত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলেন তাঁরা ততক্ষণ তাঁর বিরোধিতা করে থালা বাজিয়ে গিয়েছিলেন। ভারতীয় কিষাণ ইউনিয়নের নেতা রাজেশ টিকাইত বলেন প্রধানমন্ত্রী মোদীর এবার নিজের মনের কথা না বলে জনগণের মনের কথা শোনা উচিৎ। আন্দোলনকারী ভারত কিষাণ ইউনিয়নের নেতা জগজিৎ সিং ডালেওয়ালা মন কি বাত অনুষ্ঠানের সময় গোটা দেশকেই এই কর্মসূচিতে সামিল হওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন করোনা যোদ্ধাদের জন্য দেশের প্রধানমন্ত্রী থালা বাজিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর আবেদন জানিয়েছিলেন। আর তাঁরা আন্নদাতাদের জন্য থালা বাজানোর আবেদন জানাচ্ছেন। 

আত্মনির্ভর ভারত থেকে স্বচ্ছ ভারত অভিযান, বছরের শেষ 'মন কি বাত' অনুষ্ঠানে সেরা ১০ বার্তা মোদীর .

অক্সফোর্ডের করোনা-টিকা পড়তে চলেছে প্রথম সিলমোহর, তার আগেই সুখবর দিলেন সংস্থার প্রধান ...

গত ২৫ নভেম্বর থেকে দিল্লির উপকণ্ঠে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের অন্নদাতারা। আন্দোলন শুরুর চার দিনের মাথায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মন কি বাত অনুষ্ঠানে ভাষণ দিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি নতুন তিনটি কৃষি আইনের পক্ষেই সওয়াল করেন। তিনি বলেন কৃষকদের উন্নয়নে নতুন কৃষি আইনগুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।  কিন্তু এদিনের মন কি বাত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী কৃষি আইন নিয়ে একটিও কথা খরচ করেননি। কৃষি সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বলতে গিয়ে শুরুমাত্র কাশ্মীরের কেশর যে জিআই ট্যাগ পেয়েছে তার উল্লেখ করেন। একই সঙ্গে বলেছেন এর কারণে কাশ্মীরের কেশর উৎপাদকদের অনেক সুবিধে হবে। 

অন্যদিকে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে আলোচনার জন্য আরও একদফা প্রস্তুতি নিচ্ছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর কেন্দ্রের সঙ্গে আলোচনায় বসতে পারে আন্দোলনকারী কৃষকরা। পরের দিনই কুন্ডিল-মানসন-পালওয়ালের রাস্তায় একটি ট্র্যাক্টর মিছিলেরও আয়োজন করা হয়েছে। 
 

Share this article
click me!