অক্সফোর্ডের করোনা-টিকা পড়তে চলেছে প্রথম সিলমোহর, তার আগেই সুখবর দিলেন সংস্থার প্রধান
- FB
- TW
- Linkdin
করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে ৯৫ শতাংশ সুরক্ষা দেয় রোগীদের। ফাইজার ও মোডার্নার বিকল্প হিসেবে অক্সফোর্ডের টিকা ব্যবহার করা যেতে পারে। তেমনবই দাবি করেছেন অ্যাস্ট্রোজেনেকার প্রধান প্যাস্কাল সারিওট। ব্রিটিশ দৈনিক সানডে টাইমের সেই প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে।
গত মাসেই প্রকাশিত হয়েছে তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল রানের রিপোর্ট। সেই সমীক্ষায় দেখা গেছে, দুটি ডোজের পর দেখা যাচ্ছে এটি গড়ে ৭০ শতাংশ কার্যকর। একটি ডোজের পরই দেখা গিয়েছিল এটি ৯০ শতাংশ কার্যকার। সেখানে ফাইজারেরটির কার্যকারিতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আর মোডার্নার টিকার কার্যকারিতা ছিল ৯৪.৫ শতাংশ।
সংস্থার প্রধান জানিয়েছেন তাদের বিকাশ করা ভ্যাক্সিন সম্ভবত চলতি সপ্তাহে ব্রিটিশ স্বাস্থ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার দ্বারা পরীক্ষা করে দেখা হবে। এটি ব্রিটেনে সন্ধান পাওয়ার নতুন প্রজন্মের বিরুদ্ধেও কার্যকর হতে পারে বলও দাবি করেছেন তিনি।
ভারতও সম্ভবত প্রথম দফায় অক্সফোর্ডের টিকাকেই ছাড়পত্র দিতে পারে। সূত্রের খবর ভারতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা তাকিয়ে রয়েছে ব্রিটেনের দিকে। সেরাম ইনস্টিটিউটের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা প্রয়োজনীয় নথি নিয়ন্ত্রক সংস্থার কাছে পেশ করেছেন।
অক্সফোর্ড ও অ্যাস্ট্রোজেনেকার বিকাশ করা করোনা টিকা তৈরি করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ প্রতিষেধক উৎপান কেন্দ্র হিসেবে পরিচিত। স্বল্প আয়ের দেশগুলিকে তারাই টিকা সরবরাহ করার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে।
অক্সফোর্ডের করোনা টিকার পাশাপাশি আরও ভারত বায়োটেকের তৈরি করোনা টিকা ও ফাইজারও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন চেয়ে আবেদন জানিয়েছে ভারত সরকারের কাছে।এখনও পর্যন্ত তথ্য জমা দেওয়ার বিষয়ে এগিয়ে রয়েছে সেরাম। সূত্রের খবর সেরামের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় সরকার ব্রিটিশ আধিকারিকদের সঙ্গেও যোগাযোগ রেখে চলছে।
ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেস সূত্রের খবর, ফাইজার ইনক এখনও পর্যন্ত প্রয়োজনীয় তত্য জমা দেয়নি। ভারত বায়োটেকের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল এখনও পর্যন্ত তৃতীয় ধাপে রয়েছে। সেই কারণেই অক্সফোর্ডের করোনা টিকাই ভারতের প্রথম কোভিড ভ্যাক্সিন হয়ে উঠবে।
অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন ফাইজার ও মোডার্নার তুলনায় অনেকটাই সস্তা হবে। পাশাপাশি ভারতীয় জলবায়ুতে এটি সংরক্ষণ করাও অনেকটাই সহজ হবে।