নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে সীমান্তবর্তী এলাকায় আটক একটি পায়রা
অনুপ্রবেশ এবং চরবৃত্তির দায়ে এফআইআর দায়ের
পায়রাটির কাছ থেকে উদ্ধার সন্দেহজনক কাগজ
কী আছে তাতে
বঙ্গে ভোট প্রচারে এসে বিজেপি সরকারে এলে সীমান্ত কড়া নজরদারী ব্যবস্থার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একের পর এক সভায় তিনি বলেছেন, এমন ব্যবস্থা হবে, যে পাখিও গলতে পারবে না। প্রায় তেমনটাই ঘটল পঞ্জাবের আন্তর্জাতিক সীমান্তে। সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশ এবং চরবৃত্তির দায়ে এফআইআর দায়ের করা হল একটি পায়রার বিরুদ্ধে।
গত ১৭ এপ্রিল রাতে, রোরানওয়ালা সীমান্তের কাছে একটি সেনাঘাঁটি পাহাড়া দিচ্ছিলেন কনস্টেবল নীরজ কুমার। জায়গাটি পাকিস্তানের সীমান্ত থেকে মাত্র ৫০০ মিটার দূরে। সেইসময় পাকিস্তানের দিক থেকেই একটি পায়রা উড়ে এসে তাঁর কাঁধে বসে বলে জানিয়েছেন নীরজ। তিনি সঙ্গে সঙ্গে পায়রাটিকে ধরে ফেলেন এবং সেই ঘাঁটির কমান্ডার ওমপাল সিং-কে খবর দেন। তিনি এসে পায়রাটির তল্লাশি করতেই পাখিটির পায়ে একটি আঠালো টেপ দিয়ে আটকানো একটি মোড়ানো সাদা কাগজ পাওয়া যায়। কাগজটি সাদা হলেও টেপটির গায়ে একটি নম্বর লেখা ছিল।
এরপরই ওই পায়রাটির বিরুদ্ধে অমৃতসরের কাহাগড় থানায় একটি এফআইআর দায়ের করা হয়। এফআইআর-এ বলা হয়েছে, পায়রাটির গায়ের রং সাদা, মাথার দিকটা কালো। তার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া সাদা কাগজের টুকরোটটার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে। ওই পায়রাটির মাধ্যমে পাক সেনা গুপ্তচরবৃত্তি চালানোর চেষ্টা করছিল বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।
অবশ্য, গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে পায়রার আটক হওয়া এই প্রথম নয়। ২০২০-র মে মাসেই জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে এরকমই একটি পায়রাকে ধরা হয়েছিল। ধরেছিলেন হিরানগর সেক্টরের ময়নারি গ্রামের বাসিন্দারা। সেটিও পাকিস্তান থেকে ভারতে উড়ে এসেছিল বলে দাবি করেছিল গ্রামবাসীরা। ধরার পর পায়রাটি নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে তুলে দেয় তারা। সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, সে একটি 'কোডেড বার্তা' বহন করছিল। সম্ভবত পায়রাটিকে পাকিস্তান সেনা গুপ্তচরবৃত্তির প্রশিক্ষণ দিয়েছে।