
Tahawwur Rana in India: মঙ্গলবার ক্যালিফোর্নিয়ার সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্টের মার্কিন মার্শালরা ২৬/১১ মুম্বই হামলার অন্যতম চক্রী তাহাউর রানাকে ভারতের বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছে। ক্যালিফোর্নিয়ায় মার্কিন মার্শালরা তাহাউর হুসেন রানাকে এনআইএ ও বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর করেছিল। সেই ছবি প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ৬৪ বছরের তাহাউর রানাকে বেড়ি পরানো অবস্থায় মার্কিন মার্শালরা একটি সেনা বিমানঘাঁটিতে নিয়ে যাচ্ছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে প্রত্যাপর্ণের পর বৃহস্পতিবার তাহাউর রানা দিল্লিতে পৌঁছেছে। সেখানেই তাকে এনআইএ গ্রেফতার করে। বিশেষ আদালতে তাকে ১৮ দিনের হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদিও এনআইএ তাহাউর রানাতে ২০ দিনের হেফাজতে চেয়েছিল। আদালতে এনআইএ জানিয়েছিল, সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ ঘটাতে রানা অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র করেছিল। অন্য ষড়যন্ত্রীদের সঙ্গে শলাপরামর্শ করেছিল। বিচারক রানার কাছে জানতে চান তিনি নিজে পাল্টা সওয়াল করবেন না অন্য কোনও আইনজীবী নিয়োগ করা হবে। চাইলে আদালত তাকে আইনি সাহায্য দেবে বলেও জানিয়েছিলেন বিচারক।
আদতে পাকিস্তানি নাগরিক তাহাউর রানা, বর্তমানা কানাডার নাগরিরক। এতদিন লস অ্যাঞ্জলেসের কারাগারে ছিল। অভিযোগ ছিল পাকিস্থান বংশোদ্ভূত অন্য সন্ত্রাসবাদী ডেভিড কোলম্যান হেডলির সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল। হেডলির সঙ্গে মিলেই ২৬/১১-র মুম্বই হামলার বিষয়টি ছকেছিলেন রানা। নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন লশকর-এ-ত্যায়বার সঙ্গেও যোগ ছিল তাঁর। পাশাপাশি অপর জঙ্গি সংগঠন হরকত-উল-জিহাদি ইসলামির (হুজি) সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল।
ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) আজ জানিয়েছে যে তারা রানাকে প্রত্যর্পণে সফল হয়েছে। তাহাউর রানা ২০০৮ সালে মুম্বই হামলার মূল ষড়যন্ত্রকারী, তাকে বিচারের আওতায় আনতে বহু বছরের ধারাবাহিক প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এনআইএ অনুসারে, রানা ভারত-মার্কিন প্রত্যর্পণ চুক্তি অনুসারে তার প্রত্যর্পণের জন্য শুরু হওয়া কার্যক্রমের পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে ছিলেন। ভারতে যাতে তাকে ফিরতে না হয় তারজন্য তাহাউর রানা শেষপর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছিল। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট অফ ক্যালিফোর্নিয়ার জেলা আদালত ২০১৬ সালের মে মাসে তার প্রত্যর্পণের নির্দেশ দেয়। এরপর রানা নবম সার্কিট কোর্ট অফ আপিলসে একাধিক মামলা করেন, যার সবগুলোই খারিজ হয়ে যায়। পরবর্তীতে মার্কিন সুপ্রিম কোর্টে একটি certiorari-এর আবেদন, দুটি হেবিয়াস পিটিশন এবং একটি জরুরি আবেদন দাখিল করেন। কিন্তু সেগুলিও খারিজ হয়ে যায়।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।