করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৪০০, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১,০০০ - জোড়া বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত অসম

Published : May 25, 2020, 04:54 PM ISTUpdated : May 25, 2020, 06:22 PM IST
করোনায় আক্রান্ত প্রায় ৪০০, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ১১,০০০ - জোড়া বিপর্যয়ে বিধ্বস্ত অসম

সংক্ষিপ্ত

কোভিড-এর সঙ্গে বন্যা - অসমেও জোড়া বিপর্যয় পরিযায়ীদের ঘরে ফেরায় উত্তরোত্তর বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণ সেইসঙ্গে প্রথম বন্যার প্রথম ধাক্কাতেই জলমগ্ন ৪ জেলার ৪৬টি গ্রাম সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে রাজ্য সরকার  

কোভিড-এর সঙ্গে বন্যা! পশ্চিমবঙ্গে যেমন এই মুহূর্তে লড়তে হচ্ছে জোড়া বিপর্যয়, কোভিড ও সাইক্লোন আমফান-এর সঙ্গে, তেমনই অসমে করোনাভাইরাস সংক্রমণ উত্তরোত্তর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা দিয়েছে বন্যা। করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ৪০০ ছুঁই ছুঁই হওয়ার পাশাপাশি বন্যার কবলে পড়েছেন উত্তরপূর্বের এই রাজ্যের প্রায় ১১,০০০ মানুষ।

গুয়াহাটি থেকে অসম রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বছরের প্রথম বন্যার ধাক্কাতেই লখিমপুর, শিবসাগর, দারং ও গোয়ালপাড়া জেলার প্রায় ৪৬টি গ্রাম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত পাঁচদিন ধরে এই রাজ্যে টানা বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ গোয়ালপাড়া জেলার ২১টি গ্রাম। এ পর্যন্ত প্রায় ৫০১ হেক্টর জমির ফসলের ক্ষতি হয়েছে এবং চার জেলায় ১৩,৪৪৮ টি বন্য ও গৃহস্থ প্রাণীরও ক্ষতি হয়েছে। বন্যার ফলেও সেতু, কালভার্ট এবং রাস্তাঘাটেরও ব্যাপক ক্ষতির খবর এসেছে। ইতিমধ্যেই লখিমপুর জেলায় একটি বন্যাত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে।

অসমে বন্যা অবশ্য প্রতি বছরের সমস্যা। তবে এই বছর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে এই বিপর্যয় সামলানো প্রশাসনের কাছে বাড়তি চ্যালেঞ্জ। উত্তরপূর্বে দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রিত ছিল। কিন্তু, ভিনরাজ্য থেকে শ্রমিকরা ফেরা শুরু করতেই এখন ভারতের এই অংশের রাজ্যগুলিতেও করোনাভাইরাস মামলার সংখ্যা বাড়তে শুরু করেছে।

গত ২৪ ঘন্টায় এই রাজ্যে ৪৬ জন নতুন করোনা রোগীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন অসমের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা। রবিবার রাজ্যে একদিনে সর্বোচ্চ সাতাশিজন নতুন কোভিড মামলা ধরা পড়েছিল। সবমিলিয়ে সোমবার অসমের মোট করোনা রোগীর সংখ্যা পৌঁছেছে ৩৯২-এ। এর মধ্যে বেশিরভাগই দেশের অন্যান্য অংশ থেকে ফিরে আসা পরিযায়ী শ্রমিক বা অন্যান্য চাকুরে কিংবা শিক্ষার্থী। এরা প্রত্যেককেই কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছে, তাই তাঁদের থেকে সংক্রমন ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা খুবই কম।

রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গাড়ি, বাস ও ট্রেনের মাধ্যমে গত কয়েকদিনে প্রায় ৬০,০০০ মানুষ অসমে ফিরে এসেছেন। সোমবার বিমানে আরও ২০০০-এর বেশি মানুষের আসার কথা। হিমন্ত বিশ্ব শর্মা জানিয়েছেন, 'গুয়াহাটিতে আমাদের মাত্র এক হাজার হোটেল কক্ষ রয়েছে। তাদের জন্য পৃথক পৃথক কেন্দ্রের ব্যবস্থা করা আমাদের পক্ষে খুবই কঠিন। তবে যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে'। মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল বন্যাদুর্গতদের ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া ও উদ্ধার করার কাজে দ্রুততা আনার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন।

PREV
click me!

Recommended Stories

৮২৭ কোটি টাকা যাত্রীদের এখনও পর্যন্ত ফেরত দিয়েছে , বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দিল IndiGo
IndiGo বিমান পরিষেবা বিভ্রাট নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে মামলা, কী বলল শীর্ষ আদালত