ঘর ছাড়লেই ভিটে হারানোর ভয়, বন্যার মধ্যেও এনআরসি আতঙ্ক

  • ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত বানভাসি অসম
  • বন্যার জেরে কার্যত বিপর্যস্ত সেখানকার স্বাভাবিক জীবন-যাপন
  • অন্যদিকে এনআরসি-র ভয়ে ঘর ছাড়তে চাইছেন না বন্যা-বিধ্বস্ত মানুষ
  • জীবন এবং নাগরিকত্বের মাঝে চরম টানাপোড়েনের অসমের সাধারণ মানুষ 

Indrani Mukherjee | Published : Jul 19, 2019 5:21 AM IST / Updated: Jul 19 2019, 10:57 AM IST

ভারী বৃষ্টিপাতের জেরে কার্যত বানভাসি অসম। বন্যার জেরে কার্যত বিপর্যস্ত সেখানকার স্বাভাবিক জীবন-যাপন। কোমর- সমান জলে দাঁড়িয়েও নিজেদের শেষ সম্বলটুকু ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবতে পারছেন না অসমের বন্যা বিধ্বস্ত মানুষ। বিপর্যয় মোকাবিলা দলকে তাঁদের বুঝিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে। কারণ কেউই নিজেদের শেষ সম্বলটুকু ছেড়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত নন। 

এই ছবিটি কেবল দু-এক জায়গাতেই নয়।  অসমের বন্যা কবলিত ৩৩ জেলারই ছবিটা ছিল কিছুটা একইরকম।একাধিক গ্রামে যখন উদ্ধারকাজ করতে পৌঁছায় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী, সেখানে কোথাও কোথাও একটি বাড়ির ভিতরেই হয়তো রয়েছের প্রায় কুড়ি জন, কিন্তু তাঁদের মধ্যে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে আসছেন মাত্র ছয় থেকে সাতজন। অনেক বোঝানোর পরেও যখন তাঁরা আসতে রাজি হচ্ছিল না তখন বিপর্যয় মোকাবিলা পর্ষদের তরফ থেকে তাঁদের ফোন নম্বর দিয়ে আসা হয়েছে, যদি কোনও মুহূর্তে তাঁরা যদি নিজেদের চিন্তাভাবনা বদল করে তাহলে যেন বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সাহায্য চেয়ে তাঁরা ফোন করে। 

সাতকাণ্ড রামায়ণের পর রাস্তায় এল পাকিস্তান, কুলভূষণকে কনস্যুলার অ্যাকসেস

আসলে ৩১ জুলাই তারিখে অসমের নাগরিকপঞ্জির তালিকা প্রকাশ করা হবে। তাই একদিকে বন্যা-বিধ্বস্ত জীবন এবং আর একদিকে নাগরিকত্ব হারানোর আশঙ্কা। মূলত দ্বিতীয় কারণেই ঘর ছাড়তে নারাজ বন্যাবিধ্বস্ত অধিকাংশ বাসিন্দা। আর এই পরিস্থিতিতে বন্যার জলে ডুবে প্রাণ গেলেও দেশ-ছাড়া হওয়ার কথা যেন ভাবতেই পারছেন না অসমের বন্যা-পীড়িতরা। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, যাঁরা ঘর ছাড়তে প্রস্তুত, তাঁদের পরিচয়পত্রের প্রমাণ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। আবার অনেকেরই দাবি, বন্যার কারণে তাঁদের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথি সব নষ্ট হয়ে গিয়েছে। তাই নিজেদের পরিচয়পত্র নষ্ট হয়ে যাওয়ায় অনেকেই বন্যায় ঘর ছাড়তে নারাজ। 

Share this article
click me!