সিবিআই-এর বিশেষ পদে থাকাকালীন তীব্র বিতর্কে জড়িয়েছিলেন রাকেশ আস্থানা। ফের তাঁর উপরই আস্থা রেখে তাঁকে দিল্লির দায়িত্ব দিলেন অমিত শাহ।
কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরো বা সিবিআই-এর প্রাক্তন পদস্থ কর্তা রাকেশ আস্থানার উপরি ফের আস্থা রাখলেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার তাঁকেই দিল্লি পুলিশের নয়া কমিশনার নিযুক্ত করল মোদী সরকার। সিবিআই-তে থাকাকালীন বিতর্কে জড়িয়ে পড়ার পর আস্থানাকে ২০১৮ সালে সেকান থেকে সরিয়ে দুই বছরের জন্য সীমান্ত সুরক্ষা বাহিনী বা বিএসএফ-এর প্রধান পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। সেই পদের মেয়াদ ফুরানোর তিন দিন আগেই গুজরাত ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের এই আইপিএস অফিসারকে দিল্লি পুলিশের প্রধান পদে নিয়োগ করহা হল।
২০১৭ সালে সিবিআই-এর স্পেশাল ডিরেক্টর পদে নিয়োগ পেয়েছিলেন আস্থানা। সেই সময়ই তত্কালীন সিবিআই প্রধান অলোক ভার্মা এই নিয়ো৮গের তীব্র বিরোধিতা করেছিলেন। এরপর যত দিন গিয়েছিল, ভার্মা এবং আস্থানার বিরোধ, তিক্ততা একেবারে প্রকাশ্যে এসে পড়েছিল। এই বিতর্কের মধ্যেই রাকেশ আস্থআনার বিরুদ্ধে একটি ঘুষের মামলায় তদন্ত শুরু হয়েছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেই তদন্তে তাঁকে ক্লিন চিট দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন - ত্রিপুরায় গৃহবন্দি 'পিকে'র দল, উদ্ধারে বাংলা থেকে তিন বিশ্বস্ত সৈনিক পাঠালেন মমতা
আরও পড়ুন - পেগাসাস তদন্ত থেকে করোনা ভ্যাকসিন - কী কথা হল মোদী-মমতার ঐতিহাসিক বৈঠকে
পেশাদারি দক্ষতার জন্য সুপরিচিত রাকেশ আস্তানা। গত ৩০ জুন দিল্লি পুলিশের এর আগের কমিশনার এসএন শ্রীবাস্তব অবসর নিয়েছিলেনষ তারপর থেকে বালাজি শ্রীবাস্তব এই পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন। এবার আস্তানাকে এনে দিল্লি পুলিশকে আরও পেশাদার ও প্রতিক্রিয়াশীল করে তুলতে চাইছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। অপরাধমূলক তদন্তে রাকেশ আস্তানার অভিজ্ঞতা অপরিসীম। গত এক দশকে গুজরাতে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গিদের নির্মূল প্রধান ভূমিকা নিয়েছিলেন তিনি। এদিকে রাকেশ আস্থানা নতুন প্দ গ্রহণ করায় ফাঁকা হয়ে গিয়েছে বিএসএফ-এর ডিজির পদটি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, নিয়মিত ব্যক্তির নিয়োগ ও যোগদানের আগে বা পরবর্তী কোনও আদেশ না আসা পর্যন্ত এই পদের অতিরিক্ত দায়িত্ব সামলাবেন আইটিবিপির ডিজি এস এস দেশওয়াল।